কবির নামের অনুকরণে মাকড়শার নাম দেওয়া হয়েছে পালপিমানাস নরশিংমেহেতাই। আসলে যে সব বিজ্ঞানীরা এই প্রজাতির মাকড়শাটিকে আবিষ্কার করেছেন, তাঁরাই কবির নাম অনুসারে মাকড়শার নামকরণ করেছেন।
এক নতুন প্রজাতির মাকড়শার (spider) খোঁজ মিলল গুজরাটে (Gujarat)। গিরনার অভয়ারণ্যে এই প্রজাতির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। আর সেই মাকড়শার নাম দেওয়া হয়েছে ১৫ শতাব্দীর এক কবি নরশিং মেহেতার (Narsinh Mehta) নাম অনুসারে। কবির নামের অনুকরণে মাকড়শার নাম দেওয়া হয়েছে পালপিমানাস নরশিংমেহেতাই। আসলে যে সব বিজ্ঞানীরা এই প্রজাতির মাকড়শাটিকে আবিষ্কার করেছেন, তাঁরাই কবির নাম অনুসারে মাকড়শার নামকরণ করেছেন। ওই কবি যাতে অমর হয়ে থাকেন তার জন্য তাঁর নামে মাকড়শার নামকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জুনাগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিদ্যা বিভাগের অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর জতীন রাভাল বলেন, "নরশিং মেহেতার নাম অনুসারে মাকড়শার এই নতুন প্রজাতির নামকরণ করা হয়েছে। তিনি সব সময় সমান অধিকারে বিশ্বাস করতেন। এমনকী, তাঁর বাড়িও ছিল জুনাগড়েই। সেই কারণেই এই প্রজাতির এই নামকরণ করা হয়েছে।" এছাড়া জুনাগড়ে কবির নাম অনুসারে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ও রয়েছে। যার নাম ভক্ত কবি নরশিং মেহেতা বিশ্ববিদ্যালয় (Bhakta Kavi Narsinh Mehta University)।
ভক্ত কবি নরশিং মেহেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক বলেন, "আমার পিএইচডি ছাত্রী ও আমি এটি নিয়ে প্রায় আড়াই বছর ধরে কাজ করছিলাম। বিভিন্ন প্রজাতির মাকড়শার উপর আমাদের পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছিল। বনদফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে একাধিক জায়গায় গিয়েও পরীক্ষা করছিলাম। অবশেষে এই নতুন প্রজাতির মাকড়শার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এর জন্য বন দফতরকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।" ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বে মাকড়শার মোট ৪৯ হাজার প্রজাতি রয়েছে। আর এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল পালপিমানাস নরশিংমেহেতাই।
সম্প্রতি এই রিসার্চ পেপারটি প্রকাশ করা হয়েছে একটি অর্থপোডা সিলেক্টা নামক একটি জার্নালে। সেখানে এই আর্টিকেলের নাম দেওয়া হয়েছে, 'A New Species and a New Combination in Palpimamus Dufour, 1820 From India.' পালপিমানাস ডাফোরের প্রায় ৩৫টি প্রজাতি গোটা বিশ্বে রয়েছে। সেগুলি বেশিরভাগই রয়েছে আফ্রিকা, দক্ষিণপশ্চিম এশিয়ায়। আর এই প্রজাতির মধ্যে একটি প্রজাতি রয়েছে ভারতে। আর সেই প্রজাতি মূলত মহিলা প্রজাতির হয়ে থাকে।
কয়েকদিন আগে এক নতুন প্রজাতির মাকড়শা পাওয়া গিয়েছিল থাইল্যান্ডে। তবে কোনও প্রাণীবিদ বা বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ নন, এই মাকড়শা খুঁজে পেয়েছিলেন একজন ইউটিউবার। খন কায়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্টোমলজি ও প্ল্যান্ট প্যাথলজি বিভাগের গবেষক চমফুফুয়াং বলেছিলেন, "এই মাকড়শাগুলো সত্যিই অসাধারণ, এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সব মাকড়শার মধ্যে এটাই প্রথম যার বাস্তুসংস্থান বাঁশনির্ভর।" আর এক নতুন প্রজাতির মাকড়শার হদিশ মিলল গুজরাটে।