অভিনন্দন যে মুহূর্তে পাক যুদ্ধ বিমানকে ধাওয়া করে পাকিস্তানে প্রবেশ করছেন, তখন ভারতের কনট্রোল রুম থেকে সমস্তটা নজরে রাখছিলেন বায়ুসেনার এই তরুণী।
সীমান্ত পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ভিতর অভিনন্দন ঢুকে পড়তেই কপালে ভাঁজ পড়ে ভারতীয়দের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া সেই মুহূর্তে অভিনন্দনের ভিডিও দেখে রীতিমতো শিউরে উঠেছিলেন সকলে। কিন্তু অভিনন্দন যে মুহূর্তে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করছিলেন, তাঁকে সাবধান করেছিলেন বায়ুসেনার এক তরুণী স্কোয়াড্রন লিডার।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, অভিনন্দন যে মুহূর্তে পাক যুদ্ধ বিমানকে ধাওয়া করে পাকিস্তানে প্রবেশ করছেন, তখন ভারতের কনট্রোল রুম থেকে সমস্তটা নজরে রাখছিলেন বায়ুসেনার এই তরুণী। অভিনন্দনকে পাকিস্তানে ঢুকতে দেখেই তিনি চেঁচিয়ে ওঠেন। সাবধান করেন অভিনন্দনকে। কিন্তু অভিনন্দন তখন যেখানে, সেখানে পাকিস্তানি জ্যামার সক্রিয় ছিল। ফলে অভিনন্দনের কান পর্যন্ত পৌঁছয়নি সেই সাবধানবাণী।
তরুণীর সাবধান বার্তা অভিনন্দনের কান পর্যন্ত না পৌঁছলেও, তৎপরতার জন্য ভারতীয় বায়ুসেনা তাঁকে পুরস্কৃত করবে বলে জানা গিয়েছে। অভিনন্দন পাকিস্তানে ঢুকে পড়ার পরে, ভারতীয়দের একটাই প্রশ্ন ছিল, ঘরের ছেলে কবে ঘরে ফিরবে। সে সময়ে টিভির সামনে চোখ রেখে বসেছিলেন প্রায় প্রত্যেকটি নাগরিক। কিন্তু এসবের মাঝে সামনে আসেনি এই কন্ট্রোলার রুমে বসা এই বায়ুসেনার এই তরুণীর কথা। অবশেষে তাঁকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা।
বায়ুসেনার পক্ষ থেরে জানিয়েছে, ২৭ ফেব্রুয়ারি যখন পাক যুদ্ধ বিমানগুলি ভারতের দিকে ধেয়ে আসছে,তখন কনট্রোল রুমেপ প্রত্যেকেই খুব চাপের মধ্যে ছিলেন। সেই সময়ে মাথা ঠান্ডা রেখে অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে অভিনন্দনকে বার্তা পাঠানোর চেষ্টা করেন এই তরুণী। এই কারণেই তাঁকে সম্মানিত করা হবে। তবে এখনও সেই তরুণা বায়ুসেনার অফিসারের পরিচয় প্রকাশ করেনি বায়ুসেনা।
প্রসঙ্গত, ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালেই জানা যায় সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছে বেশ কয়েকটি পাক যুদ্ধ বিমান। বেশ কয়েকটি সীমান্ত বরাবর ঘোরাফেরাও করছিল। নির্দেশ পাওয়া মাত্রই অভিনন্দন ধাওয়া এমআইজি-২১ নিয়ে ধাওয়া করতে গিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে পড়েছিলেন।