দেশজুড়ে চলতে থাকা করোনা সংকটের মাঝে নাগরিকদের জন্য আরোগ্য সেতু অ্যাপ নিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অ্যাপের মাধ্যমে করোনা সম্পর্কিত সবরকম তথ্য সংগ্রহ করা যাবে। এই ছাড়া এই অ্যাপের মাধ্যমে সচেতনতার পাশাপাশি নিজের জেলা ও এলাকায় কতডন করোনা আক্রান্ত তারশ হদিশ পাবেন ব্যবহারকারী। লঞ্চ হওয়ার মাসখানেকের মধ্যেই ভারতীয়দের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে অ্যাপটি। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৯কোটি মোবাইলে এই অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
করোনা ক্লান্ত বিশ্বে ফের আশার আলো, সবার আগে ভ্যাকসিন আনার দাবি করছে ইতালি
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ হাজার ছাড়াল, মোবাইলে আরোগ্য সেতু না থাকলেই এবার শাস্তি
লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হল ২৯ মে পর্যন্ত, ১৪৪ ধারা জারি থাকবে চলতি মাসের শেষপর্যন্ত
প্রথম থেকেই আরোগ্য সেতু অ্যাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। আরোগ্য সেতু অ্যাপ-এর মাধ্যমে দেশের প্রতিটি ব্যক্তির গতিবিধির উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে ট্যুইটারে দাবি করেছিলেন রাহুল৷ এবার এই অ্যাপের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন এর এথিক্যাল হ্যাকার। ফরাসি হ্যাকার হোয়াইট হ্যাট দাবি করেন, আরোগ্য সেতু অ্যাপে ৯ কোটি ভারতীয় তথ্য বিপন্ন। যেকোনও মুহুর্তে তাঁদের তথ্য ফাঁস হতে পারে। হ্যাকাররা অনায়াসেই তাঁদের তথ্য হ্যাক করতে পারবে এই অ্যাপ থেকে। এলিয়ট অ্যান্টারসন নামে ওই হ্যাকার এর আগে আধারের তথ্য ফাঁসের কথা প্রকাশ করেছিলেন।
মঙ্গলবার আরোগ্য সেতু নিয়ে একাধিক টুইটে করেন অ্যান্ডারসন। রাহুল গান্ধীর আশঙ্কা যে সত্যি সেই বিষয়টিও ট্যুইটে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। সরকারকে সরাসরি বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করার কথাও বলেছিলেন তিনি।
অ্যান্ডারসনের এই দাবির পরেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বিশদ বিবৃতি দেওয়া হয়, যাতে দাবি করা হয়, একেবারেই মিথ্যে বলছেন অ্যান্ডারসন। সম্পূর্ণ নিরাপদ আরোগ্য সেতু অ্যাপ। কোনও তথ্য ফাঁসের আশঙ্কা নেই এই অ্যাপে। কাজেই যাঁরা অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন তাঁরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন।
কোরনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার আরোগ্য সেতু অ্যাপ্লিকেশনটি তৈরি করেছে, যার ব্যাপক প্রচার করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। ইতিনমধ্যেসরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রের সকল কর্মচারীর জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এই অ্যাপ। দেশের সব রেড জোনেও আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।