সারা দেশে গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে তৃতীয় দফার লকডাউন। এবার ১৪ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। ১৭ মে সেই লকডাউনের মেয়াদ শেষ হবে। কিন্তু তার আগেই নিজের রাজ্যে লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। ২৯ মে পর্যন্ত তেলেঙ্গনায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার রাজ্য সরকার।
মঙ্গলবার বিকেলে ক্যাবিনেট মন্ত্রিদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও। প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে চলে এই বৈঠক। তার পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় রাজ্যে লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ২৯ মে পর্যন্ত করার সিদ্ধান্তের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। গোটা রাজ্যেকেই এই সময়ে লকডাউন করে রাখা হবে।
সত্যি 'সেলুকাস' ভারত বড়ই বিচিত্র, অর্ধভুক্ত দেশে ৫২ হাজার টাকার মদ কিনলেন এক ক্রেতা
করোনার দাপটে বিধ্বস্ত ভারতীয় অর্থনীতি, রঘুরাম রাজনের পর অভিজিতের কাছে দাওয়াই চাইলেন রাহুল
বোতলের জন্য লম্বা লাইন, সুযোগ বুঝে ৭০ শতাংশ দাম বাড়িয়ে দিল সরকার
চন্দ্রশেখর রাও বলেন, " রাজ্যের জয় জেলা হায়দরাবাদ, রঙ্গা রেড্ডি, মেডছল, ভিকারাবাদ, সূর্যপেট এবং ওয়ারাঙ্গাল(আরবান) কে রেড জোন ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যের ১৮টি জেলা রয়েছে অরেঞ্জ জোনে, বাকি ৯টি জেলা গ্রিন জোনে। আগামী ১১ দিনের মধ্যে রাজ্যের ১৮টি অরেঞ্জ জোনকে গ্রিন জোনে পরিণত করতে হবে।"
তেলেঙ্গনার ৬টি রেড জোনের মধ্যে ৩টিকে অরেঞ্জ জোন করার লক্ষ্য রেখেছে প্রশাসন। যদিও হায়দরাবাদ, রঙ্গা রেড্ডি এবং মেডছলের পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। রাজ্যে করোনা আক্রান্তদের ৬৬ শতাংশই এই তিন জেলা থেকে। এই তিন জেলাতে মৃত্যুর হারও বেশি। করোনায় রাজ্যের মোট মৃত্যুর ৮৬ শতাংশই হয়েছে এই তিন জেলায়।
"এই পরিস্থিতিতে মারণ রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে লকডাউনের মেয়াদ ২৯ মে পর্যন্ত বাড়ান হল।" বৈঠক শেষে জানান তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে তৃতীয় দপার লকডাউনে বেশ কিছু ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে নিজেদের রাজ্যে এখনও সেই ছাড় দিতে রাজি নয় তেলেঙ্গনা সরকার।
এদিকে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত গাজিয়াবাদে ১৪৪ ধারা বলবৎ রাখার সিদ্ধান্ত নিল স্থানীয় প্রশাসন। গাজিয়াবাদ অরেঞ্জ জোনে হলেও কোনওরকম ঝুঁকি নিতে রাজি নয় প্রশাসন। সেই কারণে ১৪৪ ধারার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা শাসক অজয় শংকর পাণ্ডে।
তবে দেশে লকডাউনের তৃতীয় দফায় গাজিয়াবাদ জেলা প্রশাসন ৫০০টি ছোট শিল্পকে পুনরায় কাজ শুরু করার অনুমতি দিয়েছে। গ্রামীন এলাকায় ৫৩২টি দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর শহর এলাকায় ৬৫০ জন ব্যবসায়ী পুনরায় ব্যবসা শুরুর গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছেন। এখনও পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের এই জেলায় করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ১০৪ জন। মারণ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।