দেশে এই প্রথমবার এগিয়ে গেল মহিলারা। জনসংখ্যার দৌড়ে পুরুষদের পিছনে ফেলে সামনে এল মহিলাদের সংখ্যা। এমনটাই জানা গেছে ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সমীক্ষায়। একইসঙ্গে জাতীয় স্তরে প্রতি মহিলা অনুসারে সন্তানের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।
ভারতে এই প্রথমবার দেশের পুরুষদের পিছনে ফেলে এগিয়ে গেল মহিলারা। এমনটাই প্রমাণ মিললো জাতীয় পরিবার ও স্বাস্থ্য সমীক্ষার রিপোর্টে। বুধবার ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সমীক্ষার (National Family Health Survey) রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে যে, দেশে জনসখ্যার নিরিখে এগিয়ে মহিলারা (Women) এবং পিছিয়ে পুরুষরা (Men)। পুরুষ এবং মহিলার সংখ্যার এই অনুপাতে দেখা গেছে যে দেশে প্রতি ১০০০ জন পুরুষের মধ্যে মহিলার সংখ্যা ১২০০ জন যা ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম। কারণ এর পূর্বে পুরুষ মহিলার এই সংখ্যার অনুপাত সমান সমান পাওয়া গেলেও মহিলাদের সংখ্যা প্রথম কখনওই হয় নি। একইসঙ্গে সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে, আর জনবিস্ফোরণের আশঙ্কা নেই ভারতে এমন কি জনসংখ্যার বয়সও কমছে না।
বুধবার ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সমীক্ষার (Natioanal Family Health Survey) পঞ্চম পর্যায়ের যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, চলতি বছরে পুরুষ (Men) এবং মহিলার (Women) সংখ্যার অনুপাত ১০০০:১২০০। ২০১৫-১৬ সালে প্রকাশিত ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সমীক্ষার(National Family Health Survey) চতুর্থ পর্যায়ের রিপোর্টে যা ছিল ১০০০:৯৯১। এর আগে ২০০৫- ২০০৬ সালে প্রকাশিত রিপোর্টে সংখ্যাটা ছিল সমান সমান। কারণ সেই রিপোর্ট অনুসারে পুরুষ এবং মহিলার সংখ্যার অনুপাত ছিল ১০০০:১০০০ যা পরিবর্তী রিপোর্টের গিয়ে আবার মহিলাদের ক্ষেত্রে কিছুটা কমে গিয়েছিল। ১৯৯০ সালে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে আবার এই সংখ্যার অনুপাত ছিল আরওই কম। কারণ তখন প্রতি ১০০০ জন পুরুষের মধ্যে মহিলার সংখ্যা ছিল ৯২৭ জন।
আরও পড়ুন- Kerala: ১১ মাস পর কোলের সন্তান ফিরে পেলেন বাবা-মা, এই জয় এশিয়ানেটেরও
তবে এই সম্পূর্ন তথ্যই উঠে এসেছে স্যাম্পেল সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে। কারণ ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সমীক্ষা (National Family Health Survey) দেশের ৭০৭ টি জেলার প্রায় ৬৫০,০০০ জন বাড়িতে চালানো হয়েছিল। সমীক্ষার প্রথম পর্বে এই রিপোর্টের (First Term Survey Report) ফলাফল ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকাশ করা হয়েছিল। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ে যে রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে , সেগুলির মধ্যে রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, চণ্ডীগড়, ছত্তিসগড়, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি, ওড়িশা, পুদুচেরি, পঞ্জাব, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড।
আরও পড়ুন- Shocking: ডিজ-র আওয়াজে ৬৩টি মুরগির মৃত্যু, অভিযোগ খামার মালিকের
পাশাপাশি দেশে প্রজনন হার অর্থাৎ টোট্যাল ফার্টিলিটি রেট বা টিএফআর (Total Fertility Rate or TFR) আগের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। কারণ জাতীয় স্তরে প্রতি মহিলা (Women) অনুসারে সন্তানের সংখ্যা ২.২ থেকে কমে হয়েছে ২.০। যদিও বর্তমানে সর্বভারতীয় স্তরে হাসপাতালে জন্মদানের হার ৭৯ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৯ শতাংশ। পুদুচেরি ও তামিলনাড়ুতে হাসপাতালে প্রসবের হার ১০০ শতাংশ।