একা দীপ সিধু নয়। দিল্লিতে কিষাণ প্যারেড থেকে হিংসা ছাড়ানোর অভিযোগে কাঠগড়ায় দাঁড় করান হয়েছে গ্যাংস্টার লাখা সিধনাকেও। সূত্রের খবর, আন্দোলনকারীরা যখন দিল্লিতে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছিল তখন তাদের উত্তেজিত করতে দীপ সিধুর সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল লাখা সিধনাও। তারা প্রায় দুদিন আগে থেকেই একাধিক বক্তব্য ও ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে কৃষকদের মধ্যে উত্তেজিত করে তুলেছিল। তার ফলস্বরূপ দিল্লির হিংসা।
সূত্রের খবর, দিন দুই আগে দীপ সিধুর সঙ্গে লাখা সিধনা সিংহু বর্ডারে একটি উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন। যা প্রথম থেকেই নাকি মেনে নেয়নি আন্দোলনকারী কৃষকনেতারা। তাঁদের অভিযোগ দীপ সিধু ও লাখা সিধনা আন্দোলনকারী কৃষকদের বিভ্রান্ত করে লালকেল্লার দিকে নিয়ে গিয়েছিল। দীপ সিধুর সঙ্গে বিজেপির ঘনিষ্ট যোগাযোগ রয়েছে। ২০১৯ সালে বিজেপি প্রার্থী সানি দেওয়ালের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে সামিল হয়েছিল সে। লাখা সিধনার সঙ্গে এখনও বিজেপির তেমন কোনও যোগাযোগ পাওয়া যায়নি। কিন্তু তার বিরুদ্ধে প্রায় ৩৬টি মামলা রয়েছে। গ্যাংস্টার আইনেও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মূলত পঞ্জাবের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়েই তার সাম্রাজ্য। স্থানীয়দের কাছে সে গ্যাংস্টার লাখা সিধনা নামেই পরিচিত। পুরো নাম লখবীর সিং।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, গ্যাংস্টার হিসেবেই তার পরিচিতি। কিন্তু বর্তমানে সমাজকর্মী হিসেবে পরিচিতি তৈরি করতে মরিয়া প্রয়াল চালাচ্ছে লাখা সিধনা। নভেম্বর মাস থেকেই দিল্লির সিংহু বর্ডারে কৃষক সমাজে তাকে দেখা গিয়েছিল। সিধনার গতিবিধি আতসকাচের তলায় রেখেছে দিল্লি পুলিশ। একটি সূত্রের খবর ট্র্যাক্টর মিছিলের জন্য সিধনা বেশ কিছু মানুষ ও ট্র্যাক্টর জোগাড় করেছিল।
IMF রিপোর্টে ভারতের জন্য আশার আলো, ২০২১ সালে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ১১.৫ শতাংশ ...
দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর, প্রতিবাদী কৃষকদে প্যারেড থেকে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত ১৫টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আইন লঙ্ঘন, দাঙ্গা, সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করা অস্ত্রের ব্যবহার সহ একাধিখ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে গতকালের হিংসার ঘটনায় দিল্লি পুলিশের ৪৬ কর্মী আহত হয়েছে। নষ্ট হয়েছে একাধিক সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি।