রাজীব গান্ধীকে নিয়ে টুইট বিতর্কের জেরে দিল্লি পুলিশের দ্বারস্থ অধীর, তদন্তে সহযোগিতা চাইল প্রশাসন

 সকালেই অধীর রাজীব গান্ধীর ছবি দিয়ে একটি পোস্ট করেন। সেখানে লেখা হয়েঅধীরের এই টুইট ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। পরবর্তীকালে অবশ্য টুইটটি সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু তা বিতর্ক থামাতে পারেনি। যাইহোক তারপরই অধীর তাঁর টুইটার হ্যান্ডেল হ্যাক করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হন।ছিল যখন একটি বড় গাছ পড়ে তখন মাটি কেঁপে ওঠে। 

Saborni Mitra | Published : May 21, 2022 6:32 PM IST

রাজীব গান্ধীর প্রায়াণ দিবসে দেশের প্রাক্তন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে টুইট বিতর্কের জের অব্যাহত ছিল সন্ধ্যেবেলা পর্যন্ত। শনিবার সকালেই রাজীব গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তাদেন অধীর চৌধুরী।  পরে সেই পোস্টটি অবশ্যই তিনি সরিয়ে দেন।  পরে অবশ্য কংগ্রেস নেতা দাবি করেন তাঁর টুইটার হ্যান্ডেল হ্যাক করা হয়েছে। তিনি জঘন্য চক্রান্তের শিকার। সেই সময় দক্ষিণ দিল্লি থানায় অভিযোগও দায়ের করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। 

পাল্টা দক্ষিণ দিল্লি থানার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সমস্যাটি তাঁদের নজরে আনার জন্য তাঁরা কৃতজ্ঞ। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা করবে। তবে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করার জন্য তাঁর যে ডিভাইসটি হ্যাক করা হয়েছে সেটি পুলিশের কাজে জমা দেওয়ার অনুরোধ জানানু হয়েছে দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে। পাশাপাশি তদন্তে দিল্লি পুলশকে যাতে কংগ্রেস নেতা পুরোপুরি সহযোগিতা করেন তারও আর্জি জানান হয়েছে। 

এদিন সকালেই অধীর রাজীব গান্ধীর ছবি দিয়ে একটি পোস্ট করেন। সেখানে লেখা হয়েছিল যখন একটি বড় গাছ পড়ে তখন মাটি কেঁপে ওঠে। অধীরের এই টুইট ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। পরবর্তীকালে অবশ্য টুইটটি সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু তা বিতর্ক থামাতে পারেনি। যাইহোক তারপরই অধীর তাঁর টুইটার হ্যান্ডেল হ্যাক করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হন। 

যাইহোক এই টুইট প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী আগেই বলেছিলেন, তাঁর নামে যে টুইটটি করা হয়েছে সেটি তাঁর লেখা নয়।  কংগ্রেসের সঙ্গে শক্রুতার কারণে এজাতীয় টুইট করা হয়েছে। এটি একটি বিদ্বেষমূলক প্রচার ছাড়া আর কিছুই নয়। 
 

প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের ২১ মে, ভারতের তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামবুদুরে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় মৃত্যু হয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর। ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গিয়েছিল তাঁর দেহ। আশপাশের বহু মানুষ হতাহত হয়েছিলেন। শ্রীলঙ্কার তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলম বা এলটিটিই-এর সদস্য থেনমোঝি রাজারত্নম ছিল প্রধান ষড়যন্ত্রকারী। তার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল, কাউন্সিল অফ খালিস্তান গোষ্ঠীর ডক্টর জগজিৎ সিং চৌহান এবং খালিস্তান লিবারেশন ফোর্সের গুরজন্ত সিং বুধসিংহওয়ালা। তার আগে, শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধে ভারতীয় শান্তি রক্ষা বাহিনী পাঠিয়ে সেই দেশের সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। তারই বদলা নিতে এই হামলা হয়েছিল। 

Read more Articles on
Share this article
click me!