অধীর রঞ্জনের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সংসদের উভয় কক্ষে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি করেছে বিজেপি। হট্টগোলের জেরে লোকসভা ও রাজ্যসভা মুলতবি করতে হয়। এর পর সংসদের বাইরে সোনিয়া গান্ধী ও স্মৃতি ইরানির মধ্যে তুমুল বিতর্ক হয়।
কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে ক্ষমা চাইতে রাজি হয়েছেন। একই সাথে, তিনি ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কাছে আবেদন করেছেন যে কংগ্রেস দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে এই পুরো ঘটনায় টেনে না আনতে। তিনি বলেন, "আমি রাষ্ট্রপতিকে অপমান করার কথা ভাবতেও পারি না। এটা একটা ভুল ছিল। রাষ্ট্রপতির খারাপ লাগলে আমি ব্যক্তিগতভাবে তার সঙ্গে দেখা করে ক্ষমা চাইতাম। তিনি চাইলে আমাকে ফাঁসি দিতে পারেন। আমি শাস্তি ভোগ করতে প্রস্তুত আছি। কিন্তু সোনিয়া গান্ধীকে কেন এতে টেনে আনা হচ্ছে?
সোনিয়ার সঙ্গে বিজেপি সাংসদের তুমুল বাকবিতণ্ডা
অধীর রঞ্জনের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সংসদের উভয় কক্ষে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি করেছে বিজেপি। হট্টগোলের জেরে লোকসভা ও রাজ্যসভা মুলতবি করতে হয়। এর পর সংসদের বাইরে সোনিয়া গান্ধী ও স্মৃতি ইরানির মধ্যে তুমুল বিতর্ক হয়। সোনিয়া গান্ধী যখন বিজেপি সাংসদ রমা দেবীর কাছে এসে বলেছিলেন যে অধীর রঞ্জন চৌধুরী তার মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
এদিকে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে অধীর চৌধুরী রাষ্ট্রপত্নি বলে মন্তব্য করেছিলেন। যা নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রথম থেকেই উত্তপ্ত ছিল সংসদ। সেই ইস্যুতে সনিয়া গান্ধী আর স্মৃতি ইরানির বাকবিতণ্ডা আরও উত্তপ্ত করে তোলে লোকসভাকে। কারণ লোকসভার মধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিয়ম হয় কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর।
সূত্রের খবর এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ মুলতুবি হওয়ার পরে বিজেপি সাংসদরা কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর রাষ্ট্রপতিকে রাষ্ট্রপত্নী বলার জন্য সনিয়া গান্ধীর পদত্যাগ দাবি করেন। তাঁর সনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে স্লোগানও তোলেন। এই বিবৃতিকে রাষ্ট্রপতির অপমান হিসাবে বর্ণনা করে, বিজেপি লোকসভায় ক্ষমা চাওয়ার কথা বলে এবং "সোনিয়া গান্ধী, ক্ষমা চান" স্লোগান দেয়। স্মৃতি ইরানির অভিযোগ করে বলেন, "সোনিয়া গান্ধী, আপনি সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে একজন মহিলাকে অপমান করার অনুমোদন দিয়েছেন।" বিশৃঙ্খলা যখন চরমে পৌঁছায় তখন সনিয়া গান্ধী বিজেপি নেত্রী রমা দেবীর দ্বারস্থ হন। তিনি তাঁর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। সূত্রের খবর তিনি বলেছিলেন এই মন্তব্যের জন্য আগেই অধীর চৌধুরী ক্ষমা চেয়েছেন।
তার ব্যাখ্যায় অধীর রঞ্জন বলেছেন, 'এ ক্ষেত্রে শাসক দল তিল তিল করে তৈরিতে ব্যস্ত। আমার মুখ থেকে কথাটা একবারই বেরিয়েছে, ভুল হয়েছে। এর জন্য যদি আমার ফাঁসি যদি হয়, তবে হোক। আমার কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না।'