
লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদর অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর জবাবি ভাষণের পরই লোকসভার সাংসদ অধীর চৌধুরীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অসদাচরণের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে লোকসভার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অধীর চৌধুরী ইস্যুতে সনিয়া গান্ধী শুক্রবার কংগ্রেসের লোকসভার সদস্যদের একটি বৈঠকে ডেকেছেন। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় বৈঠক শুরু হবে কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে।
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বৃহস্পতিবারই অধীর চৌধুরীর মন্তব্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন অধীরের কিছু মন্তব্য নিয়েও তিনি আপত্তি জানিয়েছেন। তারপরই অধীর চৌধুরীকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব পেশ করা হয়। সেই সময় বিরোধী শূন্য ছিল লোকসভা। ধ্বনীভোটে প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়। যদিও কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তিনি আপমান করেননি। বা সংসদের সম্মান ক্ষুন্ন হয় এমন কোনও কাজও তিনি করেননি। কংগ্রেস সাংসদ বলেছেন, 'মোদীজি মণিপুর ইস্যুতে নীরবে বসে আছেন, যার অর্থ চুপ করে বলে থাকা।' তিনি বলেছেন নীরব শব্দের অর্থ চুপ করে বসে থাকা। সেই অর্থেই তিনি এই কথা বলেছেন। এর সঙ্গে নীরব মোদীর কোনও সম্পর্ক নেই বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। অধীর আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যদি এতে অপমাণিত বোধ করে তাহলে তাঁর কিছু করার নেই। তিনি আরো বলেন, মোদীর অনুগামীরা এই প্রস্তাব এনেছেন বলেও তিনি জানতে চেয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বিশেষাধিকার কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
Breaking News: বৌবাজারের রাসায়নিক গুদামে বিধ্বংসী আগুন, ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনী
যদিও অধীরের সাসপেনশন নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস। গোটা ঘটনাকেই দুর্ভাগ্যজনক বলে চিহ্নিত করেছেন মণীশ তিওয়ারি। তিনি বলেন, সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, এই ঘটনা সংসদ ও আইনসভায় গণতন্ত্রের ওপর প্রবল প্রভাব ফেলবে। কংগ্রেস এই ঘটনা নিয়ে আদালতে যেতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। কংগ্রেস নেতা মণিকম ঠাকুর বলেছেন, এটা প্রথমবার হল যে ,লোকসভায় নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য অধীরকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এটি অগণতান্ত্রিক ও স্বৈচারী ঘটনা।
হোস্টেলের রুমে বসে 'ফূর্তির' সাজা! মাছ-মাংস আর মদ খেয়ে বহিষ্কার PhD-র ছাত্র
যদিও সংসদ বিষয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেছেম, এটা অধীরের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, মোদীকে অশালীন মন্তব্য করা। তিনি আরও বলেন, তিনি আরও বলেন লোকসভায় বিরোধী হিসেবে সব থেকে বল দল কংগ্রেসের নেতা তিনি। তাঁকে বারবার সচেতন করেও কোনও লাভ না হওয়াতেই সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আগামী দিনে কংগ্রেস যে বড় পদক্ষেপ করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কংগ্রেস সূত্রের খবর রণকৌশল ঠিক করতেই বৈঠক ডেকেছেন সনিয়া গান্ধী।
Fuel Price: শুক্রবার কি কলকাতায় বাড়ল পেট্রোল আর ডিজেলের দাম? জানতে ক্লিক করুন এখানে