Aditya-L1: সফল চন্দ্র অভিযানের পরই সূর্যের পথে ইসরোর, জানুন কবে আর কোথায় দেখবেন আদিত্য এল১ মিশন

Published : Aug 28, 2023, 11:12 PM IST
Aditya-L1

সংক্ষিপ্ত

ইসরো জানিয়েছে আগামী ২ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে শ্রীহরিকোটা থেকে লঞ্চ করবে Aditya-L1। চন্দ্রযান-৩ এর মতই ইরসো এই মিশনও দেশের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে। 

আদিত্য এল ১ (Aditya-L1) ঘিরেও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে ভারত। ভারতের চন্দ্র মিশন সফল। চন্দ্রযান ৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে। রোভার প্রজ্ঞান চাঁদ থেকে একাধিক প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠাতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় ইসরো সূর্য মিশন নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দিল। ইসরো জানিয়েছেন আগামী ২ সেপ্টেম্বর সূর্যের দিকে পাড়ী দেবে ইরসোর তৈরি মহাকাশযান।

Aditya-L1 লঞ্চের সময়ঃ

ইসরো জানিয়েছে আগামী ২ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে শ্রীহরিকোটা থেকে লঞ্চ করবে Aditya-L1। চন্দ্রযান-৩ এর মতই ইরসো এই মিশনও দেশের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে। ইসরো ইতিমধ্যেই মিশনটি পর্যবেক্ষণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

শ্রীহরিকোটায় অবস্থিত লঞ্চ ভিউ গ্যালারি থেকে এর উৎক্ষেপণ হবে। ওয়েবসাইটের মাধ্যমেয়ই এটি দেখা যাবে। ইসরোর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকেও এই মিশন সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

আদিত্য মিশন কী?

আদিত্য-L1 মিশনের মূল লক্ষ্যই হল সূর্যকে খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করবে। বায়ুমণ্ডল ও চৌম্বক ক্ষেত্র সম্পর্কে তথ্য দেবে। সূর্যের করোনা, সৌর নির্গমণ, শিখা, করোনাল, মাস ইজেকশন অধ্যায়নের জন্য বোর্ডে সাতটি পেলোড বা যন্ত্র থাকবে। ২৪ ঘণ্টা ধরে সূর্যের ছবি তোলার ব্যবস্থাও থাকবে।

সূর্য অধ্যায়ন গুরুত্বপূর্ণ

পৃথিবী ও সৌরজগতের বাইরের এক্সোপ্ল্যানেটগুলি-সহ সহ প্রতিটি গ্রহ বিবর্তিত হয়- এই বিবর্তনটি তার মূল নক্ষত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। সৌর আবহাওয়া ও পরিবেশ সমগ্র সিস্টেমের আবহাওয়াকে প্রভাবিত করে। এই আবহাওয়ার পরিবর্তনগুলি স্যাটেলাইটের কক্ষপথ পরিবর্তন করতে পারে বা তাদের কার্যক্ষমতাকে ছোট করে দিতে পারে। জাহাজের ইলেকট্রনিক্সে হস্তক্ষেপ বা ক্ষতি করতে পারে এবং পৃথিবীতে পাওয়ার ব্ল্যাকআউট এবং অন্যান্য ঝামেলা সৃষ্টি করতে পারে। সৌর ইভেন্টের জ্ঞান মহাকাশের আবহাওয়া বোঝার চাবিকাঠি।

 

 

বিজ্ঞানীদের মূল উদ্দেশ্য হল সৌর ঝড় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা। সৌর ঝড় সম্পর্কে কী করে পূর্বাভাস দেওয়া যায় তাও জানতে চান বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর দিকে আসা প্রতিটি ঝড় L1 এর মধ্যে দিয়ে যায়, সূর্য-পৃথিবী সিস্টেমের L1 এর চারপাশে হ্যালো কক্ষপথে স্থাপিত একটি উপগ্রহর তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। বিজ্ঞানীরা দেখতে চান মহাকাশে প্রয়োজনীয় জ্বালানি খরচ কমাতে কোনও পদ্ধতি ব্যবহার করা যায় কিনা।

নাসা আর ইসরোর মধ্যে পার্থক্য

L1 বিন্দু পৃথিবী থেকে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে। এটি সূর্যে যাওয়ার কাছের পথ। এটির মাধ্যমে সূর্যের প্রায় ১০০ শতাংশ কাছে যাওয়া যায়। তাই আদিত্য L1সূর্যের দিকে তাকিয়ে একটানা পর্যবেক্ষণ করবে। নাসার পার্কার সোলার প্রোব, ২০১৮ সালে লঞ্চ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেটি অনেক কাছাকাছি চলে গেছে। কিন্তু তারপরেও আদিত্য L1 প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ। পার্কার সোলার প্রোব সূর্যের ফ্লাইবাই চলাকালীন এক হাজার ডিগ্রি সেলসিয়ালেরও বেশি গরম সহ্য করতে হয়েছে। তবে আদিত্য L1কে একটা তাপের মুখোমুখি হতে হবে না। কারণ এটি নাসার মিশনের মত সূর্যের ততটাও কাছাকাছি থাকবে না। তবে অন্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

8th Pay Commission: অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে সরকার জানাল সাফ কথা! ২.৮৬ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে বেতন?
যোগী সরকারের উত্তরপ্রদেশ ডিজিটাল পাওয়ারহাউস: স্টার্টআপ, আইটিতে রেকর্ড বৃদ্ধি