আফতাকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে পুলিশের গাড়িতে হামলা। শ্রদ্ধার হত্যাকীরর দেহ ৭০ টুকরো করার হুমকি। দিল্লি পুলিশ আটক করেছে ২ জনকে।
আফতাবের দেহের ৭০টি টুকরো করা হবে। দিল্লির রোহিনী থেকে পুলিশ ভ্যানে জেলে যাওয়ার পথেই তরোয়াল নিয়ে হামলা চালান একদল দুষ্কৃতী। তাদের দাবি একটি হিন্দু মেয়েকে কী করে আফতাব আমিন পুনাওয়ালা হত্যা করে তার দেহ ৩৫টি টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল। এবার তারাও আফতাব আমিনকে হত্যা করে তার দেহ টুকরো টুকরো করবে। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর আফতাব আমিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০ জনের এরটি দল গুরুগ্রাম থেকে এসেছিল।
দ্বিতীয় পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য রোহিনির ল্যাবরেটারিতে আনা হয়েছিল আফতাবকে। ফরেন্সিক ল্যাবরেটারি থেকে পুলিশ ভ্যানে করেই আফতাবকে বিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ল্যাব থেকে বার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হামলাকারীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে পুলিশ ভ্যানের ওপরে। আফতাবকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এফএসএস ভবনের বাইরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রের খবর,হামলাকারীরে পুলিশের ভ্যান দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল। পাঁচ জন তলোয়ার নিয়ে আফতাবকে উদ্দেশ্য করে হামলা চালায়। পুলিশ পাল্টা তাদের অস্ত্র বার করে। এই ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। আফতাবের কোনও চোট বা আঘাত লাগেনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই দিল্লি পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ সূত্রের খবর এই হামলার ঘটনায় যোগ রয়েছে দক্ষিণপন্থী হিন্দু সংগঠন সেনা নামের একটি প্রতিষ্ঠানের। তারাই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে। সংগঠমের জাতীয় সভাপতি বিষ্ণ গুপ্তা একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, আফতাব কীভাবে একটি হিন্দু মেয়েকে টুকরো টুকরো করে কেটেছে তা গোটা দেশ দেখেছে। তার হত্যার বদলা নিতেই এই হামলা বলেও দাবি করা হয়েছে বলে দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর। এক হামলাকারী জানিয়েছে, 'সে আমাদের বোনকে হত্যা করে ৩৫টি টুকরো করেছে। আমরা তার দেহের ৭০টি টুকরো করব। '
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি পুলিশ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কুলদীপ ঠাকুর ও নিগম গুজ্জর। দুজনেই গুরুগ্রামের বাসিন্দা। হামলাকারীরা একটি গাড়িতে করে এসেছিল। গাড়িটি আটক করা হয়েছে। সেখানেও তিন থেকে চার জন ছিল। তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
সহবাসসঙ্গী শ্রদ্ধা ওয়াকারকে হত্যায় মূল অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে ১৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির আদালত। আফতাবের বর্তমান ঠিকানা তিহাড় জেলে। ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে আফতাবকে দিল্লির সাকেত আদালতের হাজির করায় পুলিশ। অন্যদিকে আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্টের তিনটি পর্যায় সম্পন্ন হয়েছে শুক্রবার। এরপর তার নার্কো টেস্টও হবে। আফতাবকে জেরার পাশাপাশি দিল্লি পুলিশ শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের বেশকিছু তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি ছুরি। রক্তের দাগ, শ্রদ্ধা আর আফতাবের জামাকাপড়। এছাড়াও বেশ কিছু হাড় ও একটি খুলির নিচে থাকা চোয়ালের অংশও উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে সেগুলি শ্রদ্ধার। হাড়গুলির ফরেন্সিক ও ডিএনএ টেস্ট হবে।
আরও পড়ুনঃ
কীভাবে তৈরি হল বন্ধন ব্যাঙ্ক, সেই কথাই চন্দ্রশেখর ঘোষ তুলে ধরলেন ইনসাইটের আলোচনা সভায়
শ্রদ্ধা হত্যা-কাণ্ডে আফতাবকে ১৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ, রাখা হবে তিহাড় জেলে