১৯৭৫ সালে কাঠমান্ডুতে উত্তর আমেরিকার দুই পর্যটককে খুনের মামলায় শোভরাজকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন জেলের সাজা দিয়েছিল নেপালের আদালত।১৯ বছর জেল প্রবাসে খাটার পর শনিবার ফের নিজের দেশে পারি দিচ্ছেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার চার্লস শোভরাজ।
১৯ বছর প্রবাসে জেল খাটার পর শনিবার ফের নিজের দেশে পাড়ি দিচ্ছেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার চার্লস শোভরাজ। ১৯৭৫ সালে কাঠমান্ডুতে উত্তর আমেরিকার দুই পর্যটককে খুনের মামলায় শোভরাজকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন জেলের সাজা দিয়েছিল নেপালের আদালত। কিন্তু ১৯ বছর পর মকুব হয় তার শাস্তি। গত বৃহস্পতিবার নেপালের শীর্ষ আদালত তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করার পর থেকেই খবরের শিরোনামে তিনি।
৭৮ বছর বয়সী এই ফরাসি নাগরিক একসময় ছিল সিরিয়াল কিলার জগতের বেতাজ বাদশা। বিভিন্ন দেশে ঘুরে ঘুরে সাধারণত বিকিনি পড়া মহিলাদেরই খুব করতেন তিনি। খুনের পর সরীসৃপের মতো মসৃন কায়দায় পালাতেন তিনি হত্যাস্থল থেকে। তার এই অদ্ভুত পালানোর কায়দার জন্যই তাকে পুলিশ নাম দিয়েছিল ‘দ্য সারপেন্ট’.
অবশেষে ১৯ বছর পর নেপালের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি স্বপ্না প্রধান মল্ল এবং তিলক প্রসাদ শ্রেষ্ঠর বেঞ্চ মুক্তি দেয় তাকে। শুক্রবার আদালতের সেই নির্দেশ মেনে ‘বিকিনি কিলার’কে ইমিগ্রেশন বিভাগের হাতে তুলে দেয় কাঠমান্ডু সেন্ট্রাল জেল কর্তৃপক্ষ। তারপরই সেদিনই তাঁকে কাতার এয়ারওয়েজের বিমান কিউআর -৬৪৭ -এ তুলে দেওয়া হয়। যান গেছে বিমানটি দোহা হয়ে যাবে প্যারিসে।
নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব তথা মুখপাত্র ফণীন্দ্রমণি পোখরেল জানিয়েছেন, আগামী ১০ বছর আর নেপালে প্রবেশ করতে পারবে না ওই কুখ্যাত অপরাধী। জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে হৃদপিণ্ডের অস্ত্রোপচার হয়। সেই কারণে চিকিৎসার জন্য আরও কিছু দিন থাকার আবেদন জানিয়েছিল শোভরাজ। কিন্তু তা খারিজ করে দেয় আদালত।