চিদম্বরমের পর কেন্দ্রীয় সংস্থার জালে আরও এক কংগ্রেস নেতা, গ্রেফতার হলেন শিবকুমার

তহবিল তছরুপের একটি মামলায় টানা চারদিন ধরে ইডি প্রশ্ন করছিল কর্নাটকের অন্যতম জাঁদরেল কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমারকে। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করা হল তাঁকে। আর এরপরই নয়াদিল্লির এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের অফিসের সামনে গোলমাল বাধালেন শিবকুমারের সমর্থকরা।

 

amartya lahiri | Published : Sep 3, 2019 5:08 PM IST

গত শুক্রবারই তাঁকে চার ঘন্টা ধরে জেরা করেছিল ইডি। তারপরের দিন জেরার সময় বেড়েহয় আট ঘন্টা। কিন্তু চারদিন ধরে জেরা করেও সন্তুষ্ট হতে পারেনি ইডির তদন্তকারীরা। এরপর তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করার প্রয়োজন বোধ করেছে তদন্তকারী সংস্থাটি। সেই কারণেই তাঁরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। এর আগে দুবার তহবিল তছরুপের মামলায় তাঁর বক্তব্য নথিভুক্ত করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা।

গত বছরই তাঁর বিরুদ্ধে কর ফাকি দেওয়া ও হাওয়ালার মাধ্যমে কোটি কোটি চাকা বিদেশে পাচার করার অভিযোগ এনেছিল আয়কর বিভাগ। যার ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। তারপরই শিবকুমারকে হাজিরা দেওয়ার নোটিশ পাঠানো হয়।

এর বিরুদ্ধে কর্নাটক হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন সেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শিবকুমার। কিন্তু তাঁর আবেদন আদালত খারিজ করে দেয়। এরপরই ইডির দপ্তরে এসে শিবকুমার বলেছিলেন তিনি আইন মেনে চলেন। এবং ইডি ডাকলে, হাজিরা দেওয়াটা তাঁর কর্তব্য। কিন্তু কেন তাঁকে তহবিল তছরুপের মামলায় ডেকে পাঠানো হয়েছে তাই নিয়ে তাঁর কোনও ধারণা নেই বলেই দাবি করেছিলেন কংগ্রেসের এই দাপুটে নেতা।

কংগ্রেস বারবারই বিজেপির বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআই-এর মতো কেন্দ্রীয় সংসস্থাগুলিকে রাজনৈতিক প্রতিশোধমূলক কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ করে আসছে। শিবকুমারও দাবি করেছিলেন ২০১৭ সালের রাজ্যসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি অর্থবলে কংগ্রেস বিধায়কদের কিনতে চেয়েছিল। সেই সময় তিনি কর্নাটকের এক রিসর্টে গুজরাতের কংগ্রেস বিধায়কদের রাখার ব্যবস্থা করেছিলেন। তার জন্যই বিজেপি সরকার তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলা করেছে বলে দাবি করেন তিনি।

 

Share this article
click me!