হুডা ও আজাদ কংগ্রেসকে শক্তিশালী করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে সূত্রের খবর। G-23এর এক নেতার দাবি যৌথ নেতৃত্ব নিয়ে তাদের মধ্যে কথা হয়েছে। তাঁরা নাকি একটি বিবৃতিতেও স্বাক্ষর করেছেন।
কংগ্রেসের (Congress) বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী G-23এর নেতাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের মাত্র এক দিন পরেই বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে এলেন হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা ভূপিন্দর সিং হুডা (Bhupinder Singh Hooda)। সম্প্রতি গান্ধীদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। সূত্রের খবর পাঁচ রাজ্যে কংগ্রেসের ধরাসায়ী অবস্থার পর দলের পুনর্গঠন ও রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আলোচনা সেরেই বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা ভূপিন্দর সিং হুডা G-23এর অন্য গুরুত্বপূর্ণ নেতা গুলামনবি আজাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন। গুলামনবি আজাদের (Ghulam Nabi Azad) বাড়িতে তাঁর সঙ্গে দিয়েছিলেন আনন্দ শর্মাও। যদিও তাঁদের মধ্যে কী কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে কেউই মুখ খুলেননি।
হুডা ও আজাদ কংগ্রেসকে শক্তিশালী করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে সূত্রের খবর। G-23এর এক নেতার দাবি যৌথ নেতৃত্ব নিয়ে তাদের মধ্যে কথা হয়েছে। তাঁরা নাকি একটি বিবৃতিতেও স্বাক্ষর করেছেন।
সূত্রের খবর রাজ্যসভায় কংগ্রেসের উপনেতা ও G-23এর আরেক নেতা আনন্দ শর্মাও এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কংগ্রেসের নেতার দাবি তাঁরা কংগ্রেসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বদ্ধপরিকর। তাঁরা কোনওভাবে কংগ্রেসকে দুর্বল হতে দিতে চায় না। আর সেইজন্যই যৌথ নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার মডেলের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। তবে বুধবার G-23 নেতাদের সঙ্গে সনিয়া গান্ধীর বৈঠক ও তারপর গুলামনবি আজাদের সঙ্গে তাঁর টেলিফোনের কথাবার্তার পর রাহুল গান্ধীর সঙ্গে হুডার বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সূত্রের খবর গুলামনবি আজাদ খুব তাড়াতাড়ি কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে কথা বলবেন।
অন্যদিকে ভূপিন্দর সিং হুডার সঙ্গে রাহুল গান্ধীর সম্পর্ক বর্তমানে তেমন সুখকর নয়। কারণ গান্ধীদের হস্তভক্ষেপে রাজ্যের প্রধানের পদ দেওয়া হয়নি ভূপিন্দর সিং হুডা বা তাঁর ছেলেকে। উল্টে তাদের বিরোধী গোষ্ঠী সেলজা কুমারীর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সেলজা গান্ধীদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে জড়িত। তিনি এদিন কেন রাহুল গান্ধীর বাড়িতে গিয়েছিলেন তা নিয়েও যথেষ্ট ধ্বন্দ রয়েছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।
পাঁচ রাজ্যে ধরাসায়ী হওয়ার পরই কংগ্রেসের বিক্ষুদ্ধ গোষ্ঠীরা সরাসরি নিশানা করেন গান্ধীদের। প্রশ্ন তোলেন কংগ্রসের শীর্ষ নেতৃত্বের রণকৌশল নিয়ে। তারপরই বৈঠক ডাকেন সনিয়া গান্ধী।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কি এবার শেষ হবে, বেলারুশ সীমান্ত আলোচনায় যুযুধান দুই দেশ
মাত্র ৪৫ দিনে ৭তলা বাড়ি বানিয়ে চমক ডিআরডিও-র, আগামী দিনে সেখানে তৈরি হবে যুদ্ধ বিমান
শত্রুঘ্ন সিনহাকে তৃণমূলে আনতে বড় ভূমিকা প্রশান্ত কিশোরের, পাশে ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী