২০০৮ সালে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর থেকে আশারাম বাপু যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছেন। শর্তের অংশ হিসাবে, তিনি তার ডাক্তার এবং তার সহকারী ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না।
আশারাম বাপু, স্বঘোষিত গডম্যান। ১৬ বছর বয়সী একটি মেয়েকে ধর্ষণের জন্য যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আশামী। রাজস্থান হাইকোর্ট ৭ দিনের প্যারোল মঞ্জুর করেছে। তিনি ঠিক ১১ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন তার পরে এদিন চিকিৎসার জন্য তাঁর প্যারোল মঞ্জুর করা হয়েছে, যাতে তাকে মহারাষ্ট্রের পুনে শহরে অবস্থিত মাধববাগ হাসপাতালে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা করানো হয়।
আশারাম বাপু যোধপুর জেল থেকে মুক্তি পেয়ে মঙ্গলবার মুম্বাই যান। একজন পুলিশ অফিসার তার ফ্লাইটের সময় তার সঙ্গে ছিলেন, কিন্তু এসকর্টের সময় আশারাম বাপুর হতাশাজনক প্রতিক্রিয়া ক্যামেরায় ধরা পড়ে। এই ঘটনা তার প্যারোলের শর্ত এবং তার মুক্তির ব্যবস্থাপনা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
২০০৮ সালে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর থেকে আশারাম বাপু যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছেন। রাজস্থান হাইকোর্টের তাকে চিকিৎসার জন্য প্যারোল মঞ্জুর করার সিদ্ধান্ত তার হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যার জন্য। প্যারোলের শর্তের অংশ হিসাবে, তিনি তার ডাক্তার এবং তার সহকারী ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না। তাছাড়া একটি ব্যক্তিগত কক্ষে চিকিৎসা নেওয়ার সময় তাকে ২৪ ঘন্টা পুলিশি নজরদারিতে রাখা হবে।
আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে আশারাম বাপুকে তার চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ বহন করতে হবে। প্যারোল চুক্তির অংশ হিসাবে তাকে ৫০,০০০ টাকার জামিন দিতে হবে।