কেবল বলিউড নয়, সুশান্ত সিং রাজপুতের রহস্যজনক মৃত্যু চমকে দিয়েছে সবাইকেই চমকে দিয়েছে। সুশান্তের ময়না তদন্তের রিপোর্ট বলছে দমবন্ধ হওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। সুশান্তের ঘরে পাওয়া প্রেসিকিপশন থেকে জানা যাচ্ছে গত ৬ মাস হল মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। আর এই অবসাদের শিকার হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা মিলিন্দ দেওরাও।
এখনও পর্যন্ত পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা করেছেন। মানসিক অবসাদেই এমন চরম পরিণতির দিকে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু কেবল সুশান্ত নয়, এর আগে বলিউড অভিনেত্রী দীপিক পাডুকনও নিজের মানসিক অবসাদের কথা জনসমক্ষে বলেছিলেন। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর এই নিয়ে মুখ খুললেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মিলিন্দ দেওরা।
কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর তরুণ ব্রিগেডের অন্যতম সদস্য মিলিন্দ দেওয়া। বর্তমানে তিনি মুম্বই কংগ্রেসের সভাপতিও। সেই মিলিন্দই নিজের মানসিক পরিস্থিতি নিয়ে এবার ট্যুইট করলেন। জানালেন, কিশোর বয়সে একাধিকবার সুশান্ত সিং রাজপুতের মত তিনিও আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। এমনকি সাংসদ অবস্থাতেও সেই খেয়াল তাঁর মনে বাসা বেঁধেছিল বলে জানিয়েছেন মিলিন্দ।
আরও পড়ুন: বিধিনিষেধ উঠতেই ফের বিপত্তি, আর করোনামুক্ত নয় দ্বীপরাষ্ট্র নিউজিল্যান্ড
প্রয়াত কংগ্রেস নেতা মূরলী দেওয়ার পুত্র জানান, ১৩ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে তিনি একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। এমনকি একসময় কেন্দ্রের রাষ্ট্রমন্ত্রী থাকা মিলিন্দ সাংসদ অবস্থাতেও আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন। তবে জীবনে কখনও হেরে যেও না। দুঃখকে সাথে নিয়েই বাঁচতে শেখ। সেই পরামর্শই এখন সকলকে দিতে চান এই কংগ্রেস নেতা।
জীবন যুদ্ধ সবসময় চলছে। আর এইক কঠিন লড়াইয়ে টেনশন আমাদের সবসময়ের সঙ্গী। সেই টেনশনকে কাবুতে রাখতে ৫টি পরামর্শও দিয়েছেন মিলিন্দ। তাঁর প্রথম পরামর্শই হল নিজের পরিবার, বন্ধু, আত্মীয়দের সঙ্গে মনখুলে কথা বলুন। মিলিন্দ বলছেন ডিপ্রেশন যেকারও হতে পারে। বয়স, লিঙ্গ, আর্থিক অবস্থা, সাফল্য কিছুই বিচার করে না। এই অবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে লক্ষ্য রেখে অবশ্যই কাউন্সিলিং করানো উচিত। তিন নম্বর পরামর্শে তরুণ এই কংগ্রেস নেতা বলছেন, মন্দের ভেতরে থাকা শয়তানের সঙ্গে আমাদের লড়াই করে যেতে হবে। হার মানলে হবে না। মিলিন্দের কথায় জীবন সুন্দর। যা করতে ভাল লাগে, মন খুলে তাই করুন। গান শুনুন, রান্না করুন, সবটাই করুন বাল বেসে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মিলিন্দের কথায়, নিজেকে ভালবাসা।
একসময় আত্মহত্যার কথা ভাবলেও আত্মবিশ্বাসের উপর ভর করেই তিনি অবসাদের সঙ্গে যুদ্ধে জিতেছেন বলে জানিয়েছেন মিলিন্দ। আর সেই পরামর্শই সকলকে দিচ্ছেন এই তরুণ কংগ্রেস নেতা।
২০০৪ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে দেশের সাংসদ হয়েছিলেন মিলিন্দ দেওরা। এরপর ২০০৯ সালেও তিনি ফের একবার সাংসদ হন। মিলিন্দ দেওরা দক্ষিণ মুম্বই থেকে সাংসদ নির্বাচি হয়েছিলেন।