এইমস হাসপাতালও রাখতে চাইল না পি চিদম্বরমকে। স্বাস্থের অবনতির কারণ দেখিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু শিক্রবার তাঁর সেই আবেদন নাকচ করে দিয়ে আদালত জানিয়েছে, এইমস-এ যে মেডিকাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ছিলেন চিদম্বরম, তারা জানিয়েছে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর আর হাসপাতালে থাকার দরকার নেই। তবে দিল্লির দূষিত আবহাওয়ায় চিদম্বরমের যাতে স্বাস্থের অবনতি না ঘটে তার জন্য জেল কর্তৃপক্ষকে তাঁর জন্য দূষণ প্রতিরোধী বিশেষ মুখোশ বা মাস্কের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
তিহার জেলে 'কর্নস ডিজিজ' নামে অন্ত্রের প্রদাহজনিত এক রোগে ভুগছিলেন চিদম্বরম। ক্রমাগত ডায়েরিয়া, পেটে ব্যথা ও ওজন হ্রাস ঘটছিল। এইসব কারণ দেখিয়েই আদালতে তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার আদালত চিদম্বরমের স্বাস্থ্যের বিষয়ে মতামত দেওয়ার জন্য এইমস-এর ডিরেক্টরকে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই বোর্ডে হায়দরাবাদের গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজিস্ট নাগেস্বর রেড্ডি-কেও রাখার কথা বলেছিল আদালত।
কিন্তু সেই বোর্ড চিদম্বর বিষয়ে তাঁদের মতামত দেওয়ার পরই চিদম্বরমের জামিনের আবেদন খারিজ করল আদালত। তবে তাঁর স্বাস্থ্যের দিকে তিহার জেল কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুপারকে আদালত নির্দেশ দিয়েছে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর কক্ষটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মশা যাতে না কামড়ায় তাও দেখতে হবে। দিতে হবে মিনারেল ওয়াটারও। আর দিল্লির বাড়তে থাকা দূষণের মধ্যে তাঁকে দূষণ প্রতিরোধী মাস্ক বা মুখোশ পরিয়ে রাখতে হবে।
গত ২১ অগাস্ট আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় চিদম্বরমকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে একই মামলায় ইডিও তাঁকে গ্রেফতার করে। পরে অবশ্য অডির মামলায় জামিন পান প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। তবে সিবিআই-এর কব্জা থেকে এখনও মুক্ত হতে পারলেন না।