এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ফের অভব্যতার নতুন নিদর্শন। লন্ডনগামী বিমানটিতে ওঠার পর থেকেই অশান্তি সৃষ্টি করেন ওই যুবক।
বিমানের মধ্যে ধূমপান, যাত্রীর জামাকাপড় খুলে ফেলা, সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দেওয়ার মতো ঘটনা তো ইদানিং প্রায়শই উঠে আসে খবরের শিরোনামে। সেইরকমি আরও একটি অভব্যতার নয়া নিদর্শন দেখালেন এয়ার ইন্ডিয়া সংস্থার আর এক বিমানযাত্রী। বিমান সেবিকাদের সঙ্গে তিনি এতটাই ঘৃণ্য আচরণ শুরু করেন যে, দিল্লি থেকে লন্ডন যাওয়ার জন্য ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে অনেকটা পথ এগিয়ে গেলেও আবার ঘুরে দিল্লির বিমানবন্দরেই অবতরণ করতে হয় ওই বিমানটিকে।
এয়ার ইন্ডিয়ার দিল্লি-লন্ডন ফ্লাইট এআই ১১১ সকাল ৬টা বেজে ৩৫ মিনিটে ছেড়ে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। বিমানের ভেতরে ছিলেন প্রায় ২৪০ জন যাত্রী। এদের মধ্যেই ছিলেন এক তিরিশ বছর বয়সী যুবক, যিনি নিজের বাবা-মায়ের সঙ্গে কানাডায় যাচ্ছিলেন নিজের বোনের সাথে দেখা করার জন্য। পঞ্জাবের কাপুরথালা থেকে রাজধানীতে এসে ওই পরিবারটি লন্ডনগামী বিমানে উঠেছিল। কিন্তু, বিমানে ওঠার পর থেকে বিমান কর্মীদের সঙ্গে তীব্র বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ওই যুবক। বচসা চলতে চলতে হঠাতই তিনি সিট থেকে উঠে ছুটে গিয়ে বিমানের দরজা খুলে দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। বিমানসেবকরা তাঁকে নিরস্ত করতে যান, তখন তিনি দুজন বিমান সেবিকাকে খুব জোরে আঘাত করেন। এরপরেই বিমান চালক সিদ্ধান্ত নেন বিমানটি আবার যথারীতি বিমানবন্দরে ফিরিয়ে নিয়ে আসার।
সকাল ৯টা বেজে ৪২ মিনিট নাগাদ ফ্লাইট এআই ১১১ আবার ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে আসে। অভিযুক্ত যাত্রীকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আইপিসির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ব্যক্তিগত সুরক্ষা, মহিলাদের ওপরে আঘাত, হেনস্থা, বিমানসংস্থার বিভিন্ন নিয়মভঙ্গ ইত্যাদি নানাবিধ মামলা দায়ের করা হয়েছে যুবকের বিরুদ্ধে। দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার দেবেশ কুমার মাহলা জানিয়েছেন, এই যুবক পঞ্জাবের কাপুরথালার বাসিন্দা। তিনি দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন, তাঁর পিতা পেশায় একজন কৃষক। তাঁর পরিবার পুলিশের কাছে জানিয়েছে যে, তিনি মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন।
আরও পড়ুন-
আরও একবার হতাশ হলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা, সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি