এয়ার ইন্ডিয়া ১৭১ এর দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্টে ইঞ্জিন বিকলের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। পাইলটদের মধ্যে জ্বালানি প্রবাহ বন্ধ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রিপোর্টে জরুরি ব্যবস্থা সক্রিয় থাকার তথ্যও উঠে এসেছে।
রিপোর্টে বিমানে দুটো ইঞ্জিনেরই বন্ধ হওয়ার কারণ সম্পর্কে নতুন প্রশ্ন উত্থাপন করা হ.েছে।
512
রিপোর্টে বলা হয়েছে, শেষ মুহূর্তে ককপিটে এক পাইলট অপরজনকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন ইঞ্জিনে জ্বালানি প্রবাহ বন্ধ করা হয়েছে। তাতে অপর পাইলট জ্বালানি সরবরাহ করার কথা অস্বীকার করেন।
612
রিপোর্ট বলছে, প্রাথমিক ভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে বিমানের প্রথম ইঞ্জিনের রিকভারি ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। তবে দ্বিতীয় ইঞ্জিন চালু হওয়ার কোনও ইঙ্গিত মেলেনি।
712
রিপোর্টে বলা হয়েছে ১টা ৩৮ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে বিমানের গতিবেগ ঘন্টায় ১৮০ নট বা ৩৩৩.৩৬ কিমিতে পৌঁছায়।
812
এই সময় উভয় ইঞ্জিনেরই N2 মান ন্যূনতম নিষ্ক্রিয় গতিতে নীচে নেমে গিয়েছিল। ইঞ্জিন ও এয়ারক্রাফ্ট ফ্লাইট রেকর্ডের তথ্যে দেখা যায়, জ্বালানি সরবরাহ রান-এ ফিরে যাওয়ার পরই উভয় ইঞ্জিনেই এক্সহট গ্যাসের তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
912
অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে, আমেদাবানে দুর্ঘটনার সময় ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের জরুরি ব্যবস্থা সক্রিয় ছিল। এটি ব্যাম এয়ার টারবাইন নামে পরিচিত।
1012
জানা যাচ্ছে, উভয় ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেলে বা তিনটি হাইড্রোলিক সিস্টেমের চাপ কম থাকলে বিমানের জরুরি ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিভাবে চালু হতে পারে।
1112
এদিকে বিমানের ফ্ল্যাপ সঠিক ৫ ডিগ্রি অবস্থানে ছিল। এদিকে ল্যান্ডিং গিয়ার ডাউন ছিল।
1212
তবে, কোনও পাখির ধাক্কা খাওয়ার চিহ্ন নেই বলে জানা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রকাশ্যে এল এই তথ্য।