
ভারত পহেলগামে জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ নিয়েছে এবং পাকিস্তানে বিমান হামলা চালিয়ে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী এই অভিযানের নাম দিয়েছে 'অপারেশন সিঁদুর'। ভারতীয় সেনাবাহিনী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ পোস্ট করে এই তথ্য দিয়েছে। ভারতের এই পদক্ষেপের পর, অজিত দোভাল মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে কথা বলেছেন।
পাকিস্তানি নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি: দোভাল
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় দূতাবাসকে উদ্ধৃতকরে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে যে ভারতের পদক্ষেপটি টার্গেটেড ছিল। পাকিস্তানের কোনও বেসামরিক, অর্থনৈতিক বা সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়নি। শুধুমাত্র পরিচিত জঙ্গি শিবিরগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। হামলার পরপরই, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে কথা বলেন এবং গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে তাদের অবহিত করেন।
৯টি জঙ্গি আস্তানা ধ্বংস করা হয়েছে
পাকিস্তান সেনাবাহিনীও স্বীকার করেছে যে ভারত আক্রমণ করেছে। ভারত পূর্ব বাহাওয়ালপুরের কোটলি, মুজাফফরাবাদ এবং আহমেদপুর সোহানুল্লাহ মসজিদেও আক্রমণ করেছে। বলা হচ্ছে যে এতে মাসুদ আজহারের আস্তানাও ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়াও, মুরিদকেতে লস্করের আস্তানাগুলিতেও আক্রমণ করা হয়েছে। ৯টি স্থানের মধ্যে রয়েছে ইসলামাবাদ, ফয়সালাবাদ এবং শিয়ালকোট।
২২শে এপ্রিল, জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গিরা আক্রমণ করে, যাতে ২৬ জন নিরীহ মানুষ নিহত হয়। এর পর, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চরমে পৌঁছে। এখন ভারত আক্রমণ করে আক্রমণের প্রতিশোধ নিয়েছে।
ভারত এদিন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদ, কোটলি, বাহাওয়ালপুর সহ মোট ৯টি জঙ্গি আস্তানা লক্ষ্য করেছে। ৭ মে রাত ১:৩০ মিনিটে, ভারতীয় বিমান বাহিনী পহেলগাম জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে অপারেশন সিঁদুর নামের এই আক্রমণ চালায়। পহেলগামে ২৬ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান জঙ্গিদের হাতে। তার প্রতিশোধ নিতে এই অভিযানে, ভারতীয় সীমান্ত থেকেই সুনির্দিষ্ট বিমান হামলা চালানো হয়েছিল।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন
ভারতীয় সেনাবাহিনীর 'অপারেশন সিঁদুর-এর প্রতিধ্বনি এখন পাকিস্তানের অভ্যন্তরেও শোনা যাচ্ছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ভারত এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে কিছু অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং কুখ্যাত জঙ্গি আস্তানা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বাহাওয়ালপুরের জামে মসজিদ সুবহানাল্লাহ - যা জইশ-ই-মহম্মদের সদর দপ্তর। এছাড়াও, কোটলিতে হিজবুল মুজাহিদিনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিও ধ্বংস করা হয়েছে। এই একই জায়গা যেখানে বছরের পর বছর ধরে হাফিজ সইদ এবং মাসুদ আজহারের মতো বিশ্ব জঙ্গিদের আস্তানা ছিল।