একটি মামলার শুনানিতে এলাহাবাদ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, এই ধরনের ঘটনাগুলি গুরুতর অপরাধের আওতায় পড়লেও, ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ হতে পারে না। আদালত সূত্রে খবর, যে মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট এই পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে সেটি হল একটি ১১-১২ বছর বয়সি মেয়েকে আকাশ
এলাহাবাদ: ধর্ষনের মত নৃশংস ঘটনা নিয়ে এবার গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণের কথা জানাল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, মেয়েদের পায়জামার দড়ি খোলা, প্যান্টে হাত দেওয়া বা স্তনে হাত দেওয়া ধর্ষন নয়। এমনটাই মত বলে জানিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
জানা গিয়েছে, একটি মামলার শুনানিতে এলাহাবাদ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, এই ধরনের ঘটনাগুলি গুরুতর অপরাধের আওতায় পড়লেও, ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ হতে পারে না। আদালত সূত্রে খবর, যে মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট এই পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে সেটি হল একটি ১১-১২ বছর বয়সি মেয়েকে আকাশ ও পবন নামের দুজন ছেলে তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। তাদের মধ্যে একজন মেয়েটির পায়জামার দড়ি ছিড়ে ফেলে অপর জন তাকে টানতে টানতে কালভার্টের দিকে নিয়ে যায়। কিন্তু স্থানীয় লোকজন তাদের দেখে ফেলায় দুই অভিযুক্তই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় ট্রায়াল কোর্টে মামলা দায়ের হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষন) ও পকসো আইনে মামলা রুজু হয়। কিন্তু দুই অভিযুক্ত আকাশ ও পবন এই মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। এলাহাাবাদ হাইকোর্টে আবেদন জানানোর পর বিচারপতি রাম মননোহর নারাায়ণ মিশ্রের সিঙ্গেল বেঞ্চে অভিযুক্তদের আইনজীবী জানান যে, মামলাটি মোটেও ধর্ষনের সমান নয়। এক্ষেত্রে ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলাটি পকসো ও ৩৫৪, ৩৫৪বি ধারার আইনের প্রাসঙ্গিকতায় আসা উচিত।
সূত্রের খবর, এরপরই ট্রায়াল কোর্টের নির্দেশ সংশোধন করে হাইকোর্ট। অভিযুক্ত আকাশ ও পবনের বিরুদ্ধে IPC-র ৩৫৪বি, এবং পকসো আইনের ৯ ও ১০ ধারায় বিচার করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। তারপরই শুরু হয় মামলার বিচার। জানা গিয়েছে, হাইকোর্ট অপরাধের প্রমাণ স্বরূপ সাক্ষীদের বয়ান শুনে এমন কোনও প্রমাণ পায়নি যে, অভিযুক্তরা মেয়েটিকে ধর্ষনের চেষ্টা করেছিল।
এই বিষয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্ট বলে যে, অভিযুক্ত আকাশের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ ছিলো যে- সে, ওই মেয়েটিকে কার্লভাটের নীচে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। এবং পায়জামার দড়ি খুলে দিয়েছিল। তবে সাক্ষীরা কেউ জানাননি যে, এরফলে মেয়েটি নগ্ন হয়ে পড়েছিল! জানা গিয়েছে, এরপরই শুনানিতে এলাহাবাদ হাইকোর্ট পর্যবেক্ষন করে জানায়, মেয়েদের স্তনে হাত দেওয়া বা পায়জামার দড়ি খোলা মোটেও ধর্ষনের মত অপরাধের আওতায় পড়ে না।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।