স্যাটের চেয়ারম্যান সৌমিত্র পালের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানান হয়েছে যথাযথ নিয়ম মেনে চাকরিক্ষেত্রে নিয়োগ হয়নি। এই বিষয় আদালতের কাছে উপযুক্ত প্রমানও রয়েছে। সেই জন্যই রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার পুরো প্যানেলটাই বাতিল করে দেন তিনি।
পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (Public Service Commission) বিরুদ্ধে নীতিভঙ্গের অভিযোগ। আর সেই জন্য প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড়িয়ে অসংখ্য চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ। প্রসঙ্গত, সংরক্ষণ নীতি না মানার কারণে রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল (State Police Constables) নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের নির্দেশ দিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল বা স্যাট (SAT) । স্যাটের চেয়ারম্যান সৌমিত্র পালের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানান হয়েছে যথাযথ নিয়ম মেনে চাকরিক্ষেত্রে নিয়োগ হয়নি। এই বিষয় আদালতের কাছে উপযুক্ত প্রমানও রয়েছে। সেই জন্যই রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, শুক্রবার পুরো প্যানেলটাই বাতিল করে দেন স্যাটের চেয়ারম্যান সৌমিত্র পাল। বিজ্ঞপ্তি জারি করে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে নীতি না মানর যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তার স্বপক্ষে কিন্তু কোনও রকম সদুত্তর দিতে পারে নি পাবলিক সার্ভিস কমিশন (Public Service Commission) । এর ফলস্বরুপ ইতিমধ্যেই চাকরিতে যোগ দেওয়া ১৮৭১ জন কর্মীর পাশাপাশি আরও প্রায় হাজার পাঁচেক চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্ন চিহ্নের মুখে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে রাজ্য পুলিশের ৮৪১৯টি পদে কনস্টেবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল। লিখিত পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউ নেওয়ার পর ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়। তার ভিত্তিতেই ১৮৭১ জন রাজ্য পুলিশের কনস্টেবলের চাকরিতে যোগ দেন। তারপরই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সংরক্ষণের নীতি মানা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। ৩৭৫ জন পরীক্ষার্থী মামলা করেন স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল বা স্যাটে। তার ফলস্বরুপ মোট ৬৫৪৮ জন চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ সম্পূর্ণ আটকে যায়।
আরও পড়ুন-২৫ নভেম্বর থেকে WBPSC ক্লার্কশিপ-এর অ্যাডমিট কার্ড মিলবে, পরীক্ষা শুরু হবে ডিসেম্বরে
আরও পড়ুন-চলছে স্টাফ নার্স নিয়োগের আবেদন পক্রিয়া, চলবে ১৩ এপ্রিল অবধি
আরও পড়ুন-করোনা মোকাবিলায় নয়া উদ্য়োগ, স্যানিটাইজার বানাচ্ছে লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ হওয়ার কথা ছিল। সেই মর্মে পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউয়ের পর ২০২১ সালে নিয়োগপত্রও পেয়ে যান বহু চাকরিপ্রার্থী। সার্ভিস বুকে সাইনও হয়ে যায়। এদের মধ্যে ১ হাজার ৮৭১ জন চাকরিতে যোগদানও করেন। কিন্তু স্যাটের এই মামলার জন্য প্রায় হাজার পাঁচেক পরীক্ষার্থী চাকরিতে যোগ দিতে পারেননি। উল্লেখ্য, এর আগে এই পাঁচ হাজার চাকরিপ্রার্থী ভবানী ভবনের সামনেও বিক্ষোভ দেখান। মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও তাঁরা আবেদন জানান, যাতে দ্রুত তাঁদের কাজে যোগদানের ব্যবস্থা করা হয়। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছেও দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আবেদন জানান। কিন্তু কোনও সুরাহাতো হলই না, উল্টে শেষ পর্যন্ত পুরো প্যানেলই বাতিল করে দিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল বা স্যাট।