
মার্কিন সেনা যত সরছে ততই এগিয়ে আসছে তালিবানরা। রীতিমত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আফগানিস্তানে। একের পর এক শহরের দখল চলে যাচ্ছে তালিবানদের হাতে। এই অবস্থায় যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি আশরাফ ঘানির সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আফগানিস্তানের পাসে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি। জয়শঙ্কর বলছেনে আফগানিস্তানের শান্তি, স্থিতিশীলতা আর উন্নয়নের জন্য ভারত সবধরনের সহযোগিতা করবে।
বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে আশরাফ ঘানির সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই অবস্থায় ভারত পাশে থাকার সবরকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
মর্মান্তিক! কুয়োয় পড়া কিশোরীর প্রাণ বাঁচাতে জীবন বাজি রাখলেন ৩০ জন, এখনও পর্যন্ত নিহত ৪
NHRC রিপোর্ট নিয়ে কি সুর চড়ানোর প্রস্তুতি শুরু বিজেপির,এক ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অর্জুন-শুভেন্দু
সাংহাই কর্রোপেরেশন সংস্থার বৈঠকেও এস জয়শঙ্কর পাকিস্তান আর চিনের দিকে আঙুল তুলেছিলেন সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে। সেই বৈঠকে তিনি বলেছিলেন সন্ত্রাসবাদের জন্য অর্থায়ন অবিলম্বে বন্ধ করা জরুরি। একই সঙ্গে তিনি বলেছিলেন বর্তমান অফগানিস্তানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে উন্নয়ন আর জনস্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া প্রাথমিক কর্তব্য।এর আগেই জয়শঙ্কর আফগান বিদেশ মন্ত্রী হানিফ আতমারের সঙ্গে তাজিকিস্তানে সাক্ষাৎ করেছিলেন। গোটা বিশ্ব আফগানিস্তানে তালিবানদের উত্থানে যখন উদ্বিগ্ন তখন ভারত আফগান নাগরিকদের উন্নয়ন নিয়েই কথা বলেছিল।
সবজি বেচার নাম করে পোখরানের সেনা ঘাঁটিতে ISI এজেন্ট, লক্ষ্য পাকিস্তানে তথ্য পাচার
আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই অবস্থায় ক্রমশই বাড়ছে তালিবানদের প্রভাব। গত কান্দহারের খুব কাছেই ঘাঁটি গেড়ে আবস্থান করছে তালিবানরা। আগাস্ট মাসের শেষের দিকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার প্রায় সম্পন্ন হবে। তারমধ্যে তালিবানরা আর ভয়ঙ্কর ভূমিকা গ্রহণ করবে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্বের একাধিক দেশ। ইতিমধ্যেই ভারত আফগানিস্তান থেকে কনসুলেট কর্মী ও আধিকারিকদের সরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু তারপরেও দেশটির শান্তি আর উন্নয়নের জন্য কথা চালিয়ে যাচ্ছে। আফগানিস্তানের উন্নয়নের জন্য আগেই ভারত তিন বিলিয়ন ডরাল বিনিয়োগ করেছে।