উৎসবের মরসুমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ধার হচ্ছে মাদক। শুক্রবার দিল্লিতে মাদক-বিরোধী অভিযানে বিরাট সাফল্য পেল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।
শুক্রবার দেশের দুই প্রান্তে মাদক-বিরোধী অভিযানে বড় সাফল্য পেলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এদিন প্রথমে গুজরাত বন্দর থেকে প্রায় ৭০০ কেজি মেথামফেটামাইন উদ্ধার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি), ভারতীয় নৌবাহিনী, গুজরাত সন্ত্রাস-বিরোধী বাহিনী। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ইরানের আটজন নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর একই দিনে দিল্লি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৮০ কেজিরও বেশি কোকেন। যার বাজারমূল্য প্রায় ৯০০ কোটি টাকা। সারা শীতকাল জুড়েই দেশের নানা প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের পার্টি চলে। এই পার্টিগুলিতে মদ ও মাদকের দেদার ব্যবহার হয়। সে কথা মাথায় রেখেই উৎসবের মরসুমে মাদক কারবারীদের উপর কড়া নজরদারি চালায় এনসিবি। বিশেষ করে বন্দর, বড় শহরগুলিতে নজরদারি চালানো হয়। এই নজরদারির ফলেই শুক্রবার গুজরাত ও দিল্লি থেকে বিপুল পরিমাণে মাদক উদ্ধার হল।
মাদক উদ্ধারে খুশি অমিত শাহ
একই দিনে দেশের দুই প্রান্তে মাদক-বিরোধী অভিযানে সাফল্য আসায় খুশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি 'এক্স' হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘একই দিনে পরপর বেআইনি মাদক কারবারের বিরুদ্ধে অভিযানে সাফল্য পাওয়ার ঘটনা দেখিয়ে দিল, মোদী সরকার মাদক-বিরোধী ভারত গড়ে তোলার সঙ্কল্প বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে অনবরত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আজ নয়াদিল্লি থেকে ৮২.৫৩ কেজি উচ্চমানের কোকেন বাজেয়াপ্ত করেছে এনসিবি। এই বিপুল পরিমাণ মাদকের বাজারমূল্য প্রায় ৯০০ কোটি টাকা। দিল্লির এক ক্যুরিয়র সেন্টারে মাদক উদ্ধার হওয়ার পর সব জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়। মাদক চক্রের বিরুদ্ধে আমাদের আমাদের নির্মম অভিযান চলবে। এই বড় সাফল্যের জন্য এনসিবি-কে অভিনন্দন।’
দেশজুড়ে মাদক-বিরোধী অভিযান
দেশের বড় শহরগুলির পাশাপাশি ছোট শহরগুলিতেও তরুণ-যুবকদের মধ্যে মাদক সেবনের প্রবণতা বাড়ছে। এই কারণে সারা দেশেই নজরদারি চালাচ্ছে এনসিবি।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
তল্লাশির সময় নিজেরাই মাদক রেখে ফাঁসানোর চেষ্টা, সাসপেন্ড ৪ পুলিশকর্মী
৬০২ কোটি টাকার মাদক-সহ আটক ১৪ পাক-নাগরিক, গুজরাট উপকূলে যথেষ্ট সক্রিয় ATS-NCB
মাদকাসক্তির কাছে সন্তানও মূল্যহীন, দুই শিশুকে বিক্রি করে মাদক কিনলেন খোদ মা-বাবা