গত শনিবার থেকে হিংসার আগুনে জ্বলছে দিল্লি। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তৈরি হয়েছে রাজধানীতে উত্তে.জনা। যার জেরে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। এর মধ্যেই আন্তঃরাজ্য পরিষদের পূর্বাঞ্চালের বৈঠকে যোগ দিতে ভুবনেশ্বর এসেছেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীও। এদিকে অশান্ত দিল্লির আবহে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলার মুখ্যম্ত্রীর বৈঠক নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই একের পর এক তির ছুড়ে চলেছে কংগ্রেস ও বাম শিবির।
এনআরসি, এনপিআর ও সিএএ-র বিরোধিতায় এরাজ্যে লাগাতার আন্দোসন চালিয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে সিএএ বিরোধী আবতে ভুবনেশ্বরের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এই প্রসঙ্গ তুলতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছিল। যদিও অমিত শাহের সঙ্গে এনআরসি-এনপিআর ও সিএএ নিয়ে তাঁর কোনও কথাই গয়নি জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। বাংলার বঞ্চনা নিয়েই তিনি এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন বলে সংবাদ মাধ্যমকে অবগত করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শিথিল হল ১৪৪ ধারা, সরলেন পুলিশ কমিশনার, রাজধানীতে বড় কিছু ঘটেনি বলছে শাহের মন্ত্রক
আরও পড়ুন: যোগী রাজ্যে সরকারি হাসপাতালে ঠাঁই হল না প্রসূতির, খোলা রাস্তায় জন্ম হল শিশুর
দিল্লির হিংসা নিয়ে বিরোধীরা অমিত শাহতে তুলোধনা করলেও সেভাবে সোচ্চার হতে দেখা যায়নি এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। যদিও গত বুধবার পুরির মন্দিরের পুজো দিয়ে শান্তি কামনা করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এদিন বৈঠকে অবিলম্বে রাজধানীতে শান্তি ফেরানোর জন্য সচেষ্ট হতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
আন্তঃরাজ্য পরিষদের পূর্বাঞ্চলের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। ছিলেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও। বৈঠক শেষে অতিথিদের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। নবীন পট্টনায়কের বাসভবনে সেই ভোজসভায় যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানেই তিনি এই ভোজসভায় যোগ দিতে গিয়েছেন বলে জানান মমতা। যদিও রায়তা ছাড়া তিনি কিছুই খাননি বলে দাবি করেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আন্তঃরাজ্য পরিষদের পূর্বাঞ্চলের বৈঠকে যোগ দিতে ওড়িষায় গিয়েছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ছাড়াও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও।