শুক্রবার ভোররাতে প্রয়াত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রল মোদীর মা হীরাবেন। গুজরাটে তাঁর শেষকৃত্য সম্মন্ন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। হীরাবেনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতিসহ বিশিষ্টজনরা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মায়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রাজনীতিতে কঠোর ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত অমিত শাহ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মায়ের মৃত্যুতে তিনি আবেগঘন হয়ে পড়েন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে শোক প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মায়ের মৃত্যু খুবই দুঃখজনক ঘটনা। তিনি আরও বলেন। যে কোনও মানুষের জীবনে মা হল প্রথম বন্ধু ও শিক্ষক। তাঁর চলে যাওয়া একটি অপুরনীয় ক্ষতি বলেও উল্লেখ করেন অমিত শাহ।
অমিত শাহ এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় হীরাবেনকে 'হীরাবা' বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন হীরাবেন প্রবল সংগ্রাম করে তাঁর পরিবারকে বড় করেছেন। তিনি সকলেইর আদর্শ। তাঁর ত্যাগ আর তপস্বী জীবনে তাঁর স্মৃতিতে চিরকাল থাকবে। অমিত শাহ আরও বলেছেন এই কঠিন সময় গোটা দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের পাশে রয়েছে। দেশের মানুষের প্রার্থনাতেই হীরাবেনের আত্মা শান্তি পাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মায়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি বলেছেন হীরাবেনের ১০০ বছরের জীবনে ছিল কঠোর সংগ্রামের। তিনি ভারতীয়দের লড়াইয়ের প্রতীক। তিনি হীরাবেনের আত্মার শান্তি কামনা করেন বলেও জানিয়েছেন। হীরাবেনের পরিবারের সদস্যদেরও সমবেদনা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় শোকপ্রকাশ করেছেন হীরাবেনের মৃত্যুতে। তিনি বলেছেন, হীরাবেনের জীবনে ছিল অত্যান্ত সাধারণ। তিনি মাতৃত্বের প্রতীক। কঠিন সময়ে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার ভোররাত ৩টে ৩০ মিনিটে মারা গেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা হীরাবেন মোদী। তাঁর বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর মায়ের মৃত্যু সংবাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। তিনি বলেন, 'একটি গৌরবময় শতাব্দীর ঈশ্বরের পায়ে স্থির।'তিনি আরও বলছেন, 'একটি গৌরবময় শতাব্দী ঈশ্বরের পায়ে বিশ্রাম নিচ্ছে, মা আমি সর্বদা সেই ত্রিত্ব অনুভব করছি যার মধ্যে একজন তপস্বীর যাত্রা রয়েছে নিঃস্বার্থ কর্মযোগীর প্রতীক ও মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি জীবন।'
হীরাবেন গত ১৮ জুন ১০০ বছর পূর্ণ করেন। তাঁর জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী মোদী গান্ধী নগরে তাঁর বাসভবনে গিয়ে দেখা করেছিলেন। গান্ধীনগরে ছোট ছেলে পঙ্কজ মোদীর কাছেই থাকতেন হীরাবেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যেতেন মোদী। গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়েও দেখা মায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মোদী। রায়সান গ্রামের ভোট কেন্দ্রে ভোটও দিয়েছিলেন হীরাবেন। পঙ্কজ মোদী তাঁকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুনঃ
হীরাবেন কোনও দিন স্কুলেই যাননি, তবে জোর দিয়েছিলেন সন্তানদের আত্মনির্ভর আর সুশিক্ষত করতে
নতুনভাবে সেজে উঠবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন, জানুন কী কী সুবিধে থাকবে এখানে