হীরাবেন কোনও দিন স্কুলেই যাননি, তবে জোর দিয়েছিলেন সন্তানদের আত্মনির্ভর আর সুশিক্ষত করতে

১৮ জুন ১০০ বছর পূর্ণ করেন হীরাবেন। বিয়ে হয়েছিল ১৫-১৬ বছর বয়সে। আর্থিক অনটনের কারণে হীরাবেন স্কুলে যেতে পারেননি।

 

Web Desk - ANB | Published : Dec 30, 2022 4:32 AM IST

শুক্রবার ভোররাত ৩টে ৩০ মিনিটে মারা গেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা হীরাবেন মোদী। তাঁর বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর মায়ের মৃত্যু সংবাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। তিনি বলেন, 'একটি গৌরবময় শতাব্দীর ঈশ্বরের পায়ে স্থির।'তিনি আরও বলছেন, 'একটি গৌরবময় শতাব্দী ঈশ্বরের পায়ে বিশ্রাম নিচ্ছে, মা আমি সর্বদা সেই ত্রিত্ব অনুভব করছি যার মধ্যে একজন তপস্বীর যাত্রা রয়েছে নিঃস্বার্থ কর্মযোগীর প্রতীক ও মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি জীবন।'

হীরাবেন গত ১৮ জুন ১০০ বছর পূর্ণ করেন। তাঁর জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী মোদী গান্ধী নগরে তাঁর বাসভবনে গিয়ে দেখা করেছিলেন। গান্ধীনগরে ছোট ছেলে পঙ্কজ মোদীর কাছেই থাকতেন হীরাবেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যেতেন মোদী। গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়েও দেখা মায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মোদী। রায়সান গ্রামের ভোট কেন্দ্রে ভোটও দিয়েছিলেন হীরাবেন। পঙ্কজ মোদী তাঁকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদী ছাড়াও হীরাবেনের আরও পাঁচটি সন্তান রয়েছে। হীরাবেনের জন্ম পালানপুরে। দামোদারদাস মুলচাঁদ মোদীকে বিয়ে করার পরে হীরাবেনের ঠিকানা হয়েছিল ভাবনগর। হীরাবেনের এক সন্তান প্রহ্লাদ মোদী আগেই জানিয়েছিলেন হীরাবেনের যখন ১৫ কি ১৬ বছর বয়স তখনই তাঁর বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল না, সেই কারণে হীরাবেন পড়াশুা করার তেমন সুযোগ পাননি। তবে তিনি চাইতেন তাঁর সন্তানরা যাতে সুশিক্ষিত হয়। আর সেই কারণে সন্তানদের পড়াশুনার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন তিনি। প্রহ্লাদ মোদী আরও জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল না। কিন্তু সন্তানের পড়াশুনার জন্য টাকা ধার নিতে নারাজ ছিলেন তাঁর মা। উপার্জনের জন্য সেই সময়ই হীরাবেন ভাবনগরের শিশু ও মহিলাদারে ঘরোয়া প্রতিকার দিয়ে চিকিৎসা করতেন। প্রহ্লাদ মোদী আরও জানিয়েছেন, হীরাবেন কখনই স্কুলে যাননি। কিন্তু স্থানীয় চিকিৎসকরা তাঁর মায়ে রীতিমত সম্মান করতেন।

প্রহ্লাদ মোদী আরও জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দীর্ঘ সময় কাজ করতে পারেন। আর এই জন্য তিনি দেশে ও বিদেশে প্রশংসিত হন। এই দীর্ঘ সময় কাজ ও কঠোর পরিশ্রমের অনুপ্রেরণা তিনি পেয়েছেন তাঁর মায়ের কাছ থেকেই। হীরাবেন প্রথম থেকেই সন্তানদের আত্মনির্ভর হওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন। কঠোর পরিশ্রম করতেও অনুপ্রেরণা দিতেন তিনি।

হীরাবেনের সম্মানে গান্ধীনগরের একটি রাস্তার নামকরণ হয়েছে। প্রহ্লাদ মোদী জানিয়েছেন,গান্ধী নগরের মেয়র হিতেশ মাকওয়ানা হীরাবেন যখন ১০০ বছর পূর্ণ করেন তখনই রায়সান এলাকার একটি ৮০ মিটার রাস্তার নাম হীরাবা মার্গ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। উদ্দেশ্যে একটাই পরবর্তী প্রজন্ম হীরাবেনের জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়।

আরও পড়ুনঃ

প্রধানমন্ত্রী মোদীর কলকাতা সফর স্থগিত, হীরাবেনের শেষযাত্রায় সামিল তিনি

প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা হীরাবেন মোদী, মায়ের মৃত্যু সংবাদ টুইট করেন ছেলে

রাহুল গান্ধী নিজেই নিরাপত্তা নির্দেশিকা 'তোয়াক্কা' করেন না, কংগ্রেসের চিঠির পর অভিযোগ আমলার

 

Share this article
click me!