মন্দিরের প্রবীণ পরিচালকের কথায় রত্নভাণ্ডার তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। বাইরের কক্ষে রয়েছে আচার অনুষ্ঠানের জন্য অলঙ্কার। অভ্যন্তরীণ কক্ষে রয়েছে জগন্নাথদেব, সুভদ্রা আর বলভদ্রের অব্যবহৃত গয়না।
রবিবার দুপুর ১টা ২৮ মিনিটে খোলা হল পুরীর জগন্নাথ দেব মন্দিরের রত্নভাণ্ডার। জানা যায় রত্নভাণ্ডারের চাবি হারিয়ে গিয়েছিল। আর সেই কারণে দীর্ঘদিন খোলা হয়নি রত্নভাণ্ডার। এর আগেও ওড়িশা সরকার গুপ্তধনের ভাণ্ডার খোলার প্রস্তাব অনুমোদন করেছিল। শেষপর্যন্ত রবিবার খোলা হল রত্নভাণ্ডার। তবে গতকালই এক সদস্য জানান, তালা ভেঙে রত্নভাণ্ডারের খোলা হয়েছে।
রত্ন ভান্ডার পরিদর্শনের জন্য আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI), মন্দিরের পরিচারক, ম্যানেজিং কমিটি এবং একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি সহ একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করা হয়েছিল। পুরী জেলা প্রশাসনের হাতে থাকা একটি ডুপ্লিকেট চাবি ব্যবহার করে কোষাগার খোলা হয়েছিল। কোনো সমস্যার ক্ষেত্রে, একটি তালা ভাঙার দল, একটি মেডিকেল টিম এবং স্নেক হেল্পলাইন সদস্যদের সঙ্গে, স্ট্যান্ডবাইতে রাখা হয়েছিল।
মন্দিরের প্রবীণ পরিচালকের কথায় রত্নভাণ্ডার তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। বাইরের কক্ষে রয়েছে আচার অনুষ্ঠানের জন্য অলঙ্কার। অভ্যন্তরীণ কক্ষে রয়েছে জগন্নাথদেব, সুভদ্রা আর বলভদ্রের অব্যবহৃত গয়না। যা যুগ যুগ ধরে ভক্তরা দান করে এসেছে। ভক্তদের দানের অন্যান্য সামগ্রীও রয়েছে।
ঘটে গেল আশ্চর্য ঘটনা
রবিবার সবথেকে অবাক করার মত বিষয় ছিল, মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডারের দ্বিতীয় দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই অজ্ঞান হয়ে যান পুলিশ সুপার পিনাক মিশ্র। যদিও, তিনি ঠিক কোন কারণে অজ্ঞান হলেন তা জানা যায়নি। মন্দির চত্বরে থাকা চিকিৎসকের দল তাঁর চিকিৎসা করেন। জানা গিয়েছে যে, বিকেল ৫ টা বেজে ১৫ মিনিট নাগাদ ওড়িশা ডিজাস্টার র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স জগন্নাথ মন্দির থেকে বেরিয়ে আসে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।