উত্তরাখণ্ডের বিজেপি নেতার ছেলের রিসর্টে নিয়ে সামনে এল আরও এক ভয়ঙ্কর তথ্য। এই রিসর্টে অবাদেই চলতে মাদকের অবৈধ কারবার। আর পতিতাবৃত্তির একটি ঘাঁটি ছিল ওই রিসর্ট। অনেক মহিলার সঙ্গেই জোরজবরদস্তি করা হয়েছে। এমনই দাবি করেছেন রিসর্টের এক প্রাক্তন কর্মী।
উত্তরাখণ্ডের বিজেপি নেতার ছেলের রিসর্টে নিয়ে সামনে এল আরও এক ভয়ঙ্কর তথ্য। এই রিসর্টে অবাদেই চলতে মাদকের অবৈধ কারবার। আর পতিতাবৃত্তির একটি ঘাঁটি ছিল ওই রিসর্ট। অনেক মহিলার সঙ্গেই জোরজবরদস্তি করা হয়েছে। এমনই দাবি করেছেন রিসর্টের এক প্রাক্তন কর্মী। এই হোটেলেই রিসেপসনিস্টের কাজ করতেন ১৯ বছরেস তরুণী অঙ্কিতা ভাণ্ডারী। ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ২৪ সেপ্টেম্বর উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। অঙ্কিতাকে খুনের অভিযোগে রিসর্টের মালিক পুলকিত আর্য-সহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ইশিতা নামের প্রাক্তন কর্মীর দাবি রিসর্টে আসা অতিথিদের অবৈধ মদ, গাঁজা ও একাধিক মাদক সরবরাহ করা হত। তিনি আরও অবিযোগ করেছেন রিসর্টের অতিথিদের জন্য মেয়েও সরবরাহ করা হত । অঙ্কিতা রিসর্টের কাজে যোগ দেওয়ার মাত্র দুই মাস আগেই তিনি রিসর্টের কাজ ছেড়ে দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।
অঙ্কিতা অগাস্টের রিসর্টে রিসেপসনিস্ট হয়ে আসেন। আর ইশিতা রিসর্টের কাজ ছেড়ে দেন জুন মাসে। অঙ্কিতার সঙ্গে তাঁর পরিচয় নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন অনেক সময়ই অতিথিদের বিশেষ পরিষেবার অঙ্গ হিসেবে যৌন সঙ্গম করতে বাধ্য করা হত মহিলাদের।
ইশিতা আরও বলেছেন,তিনি অঙ্কিতার বাবা-মায়ের সন্তান হারানোর দুঃখটা অনুভব করছেন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, অঙ্কিতাকেও রিসর্টে আসা অতিথিদের বিশেষ পরিষেবা দিতে জোর করছিল পুলকিত আর্য। তাতে রাজি হননি অঙ্কিতা, তাই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। ইশিতা বলেন একইভাবে তাঁকেও রিসর্টের আতিথিদের পতিতা হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। তিনি তাতে রাজি ছিল না। সেইজন্য তাঁর সঙ্গে রিসর্ট কর্তৃপক্ষ খুব খারাপ ব্যবহার করেছে। তাঁকে অশালীনভাষায় গালিগালজ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ইশিতার স্বামী জানান তিনি তাঁর স্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাতে তাঁর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ করে মারধর করা হয়। ব্ল্যাকমেল করা হয়। এই এলাকার পাটোয়ারী গোটা ঘটনায় যুক্ত ছিল বলেও অভিযোগ দম্পতির। তিনি আরও জানান পাটোয়ারি গ্রামীণ এলাকার রাজস্ব সংগ্রহের দায়িত্ব থাকলেও গোটা এলাকার আইন রক্ষারও দায়িত্ব তার হাতেই রয়েছে। সেই পাটোয়ারি ইশিতার স্বামীকে লাঞ্ছিত ও মানসিক নির্যাতন করেছে বলেও অভিযোগ তাঁর। পাটোয়ারী মূলত মালিকের পক্ষেই ছিল।
তিনি আরও বলেছেন প্রায় এক মাস রিসর্টে কাজ করার পরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এক সপ্তাহ কাজে যাননি। তবে পুলকিত আর্য ও দুই ম্যানেজার তাঁকে আশ্বস্ত করার কাজে ফিরে যান। কিন্তু দেড় মাস তাঁকে বিনা বেতনে কাজ করিয়েনিয়েছিল পুলকিতরা। তিনি বেতন চাইলে তাঁকে বলা হয়েছিল, তিনি কাজ আগেই ছেড়েদিয়েছিল। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে একটি চুরির অভিযোগও দায়ের করেছিল পুলকিত। শেষপর্যন্ত মারধর করে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের কাছে গিয়েও কোনও রকম সহযোগিতা পাননি বলেও অভিযোগ দম্পতির।
উত্তরাখণ্ড সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মেয়ের শেষকৃত্য করতে রাজি অঙ্কিতার পরিবার
Digital Pollution: ইমেল-টুইটার থেকে হুহু করে ছড়াচ্ছে দূষণ, জানুন কী ভাবে বাঁচাবেন নিজেকে