
ভারতীয় সেনা প্রধান এমএম নাারাভামে সোমবার ঘুরে দেখেন দেশের পাক সীমান্ত লাগোয়া ভারতীয় সেনা সেনা ঘাঁটিগুলি। জম্ম এলাকায় ১৯৮ কিলোমিটার বিস্তৃত ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্ত। সোমবার সফরকালীন সময়ে ফরোয়াড এলাকাতেও টহল দিয়েছিলেন সেনা প্রধান।
আর এই সফরের সময়ই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের ওপরই জোর দিয়েছেন সেনা প্রধান। তেমনই জানান হয়েছে সেনা সূত্রে। ভারতের অভিযোগ সীমান্তবর্তী এলাকায় জঙ্গি অনুপ্রেবেশের ঘটনা যেমন ঘটছে তেমনই বেড়ছে যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ৩০ জুন পর্যন্ত আড়াই হাজারেও বেশি সময় যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। রবিবার নৌসের সেক্টর ও পুঞ্চে সীমান্তে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে সীমান্তে গুলি চালালে আগামী দিনে আর তা বরদাস্ত করা হবে না বলেই বার্তা দিয়েছেন সেনা প্রধান। সূত্র মারফত তেমনই খবর পাওয়া গেছে। ২০০৩ সালে যুদ্ধ বিরতি চুক্তি হওয়ার পর গত বছর সবথেকে বেশি এই নিয়ম লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান।
মহাকাশে ভৌতিককাণ্ড, আচমকাই ছায়াপথ থেকে অদৃশ্য হয়ে গেছে 'দৈত্যাকার' এক নক্ষত্র ...
লেফটেন্যান্ট দেবেন্দ্র আনন্দ একটি বিবৃতিতে বলেছেন, সেনাপ্রাধান পাকিস্তানের যুদ্ধ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন আর বেআইনি অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে নো টলারেন্স নীতি আবার পুনর্বহাল করেছেন।সকল সরকারি সংস্থা একযোগে কাজ করছে। শত্রু পক্ষের এই ঘৃণ্য যুদ্ধ পরিকল্পনাকে কখনই বাস্তবায়িত হতে দেওয়া যাবে না। তারজন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও সেনার তরফ থেকে জানান হয়েছে।
এদিন সীমান্তবর্তী এলাকাগুলির অগ্রগতির পরিদর্শনের সঙ্গে সঙ্গে পাঠানকোট অঞ্চলে মোতায়েন সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা পরিস্থিতিও পর্যালোচনা করেন সেনা প্রধান। দায়িত্ব প্রাপ্ত কমান্ডারদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনায় রণকৌশল তৈরি নিয়েও একাধিক কথা আলোচনা হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেও কর্তব্যরত সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।
সূত্রের খবর জম্মু কাশ্মীরের প্রযুক্তিগত বিমান বন্দরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে টাইগার ডিভিশন পরিদর্শন করেন সেনা প্রধান। আগামিকালই পাঠানকোট উড়ে যাবেন তিনি। সেনা প্রধানের এই সফর ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।