গ্যাংস্টার বিকাশের মত দশা হতে পারে, নিরাপত্তা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ পুলিশ আধিকারিক

  • বিকাশ দুবেকে নিয়ে এখনও সরগরম উত্তরপ্রদেশ
  • গ্যাংস্টারের মত তাঁরও প্রাণ সংশয় রয়েছে
  • নিরাপত্তা চেয়ে এবার শীর্ষ আদালতে এক পুলিশ আধিকারিক
  • উত্তরপ্রদেশ এসটিএফ তাঁকে মেরে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা

Asianet News Bangla | Published : Jul 13, 2020 10:30 AM IST / Updated: Jul 13 2020, 04:13 PM IST

গত শুক্রবার গ্যাংস্টর বিকাশ দুবের এনকাউন্টার নিয়ে এখনও সরগরম উত্তরপ্রদেশ। এর মাঝেই নিজের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কায় সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হলেন চৌবেপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টপ কেকে শর্মা। গত ২ জুলাই বিকাশ দুবের খোঁজে কানপুরের বিকরু গ্রামে হানা দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের পুলিশের এসটিএফ দল। কিন্তু সেই খবর বিকাশের কাছে আগেই পৌঁছে দিয়েছিল পুলিশেরই কয়েকজন কর্মী। যার ফলে বিকাশ ও তার দলবলের পাল্টা গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল ৮ নিরীহ পুলিশকর্মীর। বিকাশের কাছে আগাম খবর পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশ এসটিএফ কেকে শর্মাকে গ্রেফতার করেছে। 

আরও পড়ুন: 'বিকাশের ভাগ্যে এটাই ছিল', ছেলেকে নিয়ে স্বামীর শেষযাত্রায় এসে বললেন সহধর্মিনী রিচা

আরও পড়ুন: খোঁড়া পায়ে দৌড়ল কীভাবে বিকাশ, এনকাউন্টার ঘিরে পুলিশের দিকে উঠছে একের পর এক প্রশ্ন

শীর্ষ আদালতের কাছে করা আবেদনে সাব-ইন্সপেক্টপ কেকে শর্মা জানিয়েছেন, বিকাশ দুবে ও তার সঙ্গীদের এনকাউন্টারের পর নিজের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কায় ভুগছেন তিনি। এসটিএফ বিকাশ ডুবের মতই তাঁর জীবনও শেষ করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চৌবেপুর থানার এই সাব-ইন্সপেক্টর। এই অবস্থায় তাঁকে যেন কোন স্বাধীন এজেন্সি বা সিবিআইতে স্থানান্তর করে দেওয়া হয় সেই আবেদনও করেছেন কেকে শর্মা। নিজের পাশাপাশি স্ত্রীর প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কার কথাও এই পিটিশনে উল্লেখ করেছেন উত্তরপ্রদেশের এই পুলিশ আধিকারিক।

 

 

এদিকে নিহত গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কমপক্ষে ২০০ জন যোগাযোগ রেখে চলছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, কানপুরের বিকরু গ্রাম যে থানার আওতায় পড়ে সেই চৌবেপুর থানা ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি থানার পুলিশ নিয়মিত ভাবে বিকাশ দুবের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। তাঁর মধ্যে ছিল চৌবেপুর থানার স্টেশন অফিসার বিনয় তিওয়ারি ও সাব-ইন্সপেক্টর কেকে শর্মা। গত ২ জুলাই এসটিএফের অভিযানের কথা তারাই বিকাশ দুবের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল বলে মনে করছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। পুলিশ আধিকারিকদের কাছে এমনও খবর এসেছে, গত ২ জুলাই রাতে অন্যান্য থানার পুলিশরা ঘটনাস্থলে হাজির হলেও অভিযানের সময় চৌবেপুর থানার গোটা পুলিশ দল পালিয়ে যায়।

Share this article
click me!