কপ্টারটিতে চারজন সেনা আধিকারিক ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে তারা প্রত্যেকেই সুরক্ষিত ও নিরাপদে অবতরণ করতে পেরেছেন বলে জানা গিয়েছে।
এখনও বিপিন রাওয়াতের কপ্টার দুর্ঘটনার ক্ষত শুকোয়নি ভারতের মন থেকে। এরই মাঝে ফের একটুর জন্য বড় দুর্ঘটনা এড়াল ভারতীয় সেনার হেলিকপ্টার (army helicopter)। সূত্রের খবর, হরিয়ানার (Haryana) ঝিন্দে (Jind) সেনা কপ্টার জরুরি অবতরণ (emergency landing) করে। ওই কপ্টারটিতে চারজন সেনা আধিকারিক (military personnel) ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে তারা প্রত্যেকেই সুরক্ষিত ও নিরাপদে অবতরণ করতে পেরেছেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কী কারণে ওই সেনা কপ্টারকে জরুরি অবতরণ করতে হল, সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।
এদিকে, ডিসেম্বর মাসেই কপ্টার দুর্ঘটনায় ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (CDS) জেনারেল বিপিন রাওয়াত (Bipin Rawat) সহ সেনার (Indian Army) উচ্চপদস্থ অফিসারদের হারায় দেশ। ৮ই ডিসেম্বর ভারতীয় বিমান বাহিনীর এমআই -১৭ হেলিকপ্টারটি ১৪ জনকে নিয়ে যাচ্ছিল। যারমধ্যে ৯ জন যাত্রী ছিলেন। আর পাঁচ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ তামিলনাড়ুর কুনুরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সেনা চপারটি। সেই চপারে ছিলেন সস্ত্রীক সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াত সহ মোট ১৪ জন। ভারতীয় বিমান বাহিনীর (Indian Air Force) পক্ষ থেকে জানানো হয় কপ্টার দুর্ঘটনায় সিডিএস বিপিন রাওয়াতসহ ১৩ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে ভারতীয় বায়ু সেনার বিমানে ছিলেন তাঁর স্ত্রীও। তিনিও মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন বায়ু সেনা। নীলগিরির জঙ্গলে আচমকাই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বায়ু সেনার এমআই -১৭ হেলিপক্টারটি।
বায়ু সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়, চপার দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে এয়ারফোর্স গ্রুপ ক্যাপ্টেনকে। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাঁর চিকিৎসা চলছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বায়ুসেনা বলেছে, গভীর দুঃখের সঙ্গে জানান হচ্ছে জেনারেল বিপিন রাওয়াত ও তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াতের মৃত্যু হয়েছে চপার দুর্ঘটনায়। সঙ্গে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। চপারে মোট ১৪ জন যাত্রী ছিল।
হেলিকপ্টারটি নীলগিরি পাহাড়ের সুলুর বিমান ঘাঁটি থেকে ওয়েলিংটনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। দুপুর ১১টা ৪৫ মিনিটে টেকঅফ করেছিল। উড়ানের ১০ মিনিটের মধ্যেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুপুর ২টো নাগাদ বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে দুর্ঘটনার কথা জানানো হয়।
বিপিন রাওয়াতের কপ্টার ভেঙে দুর্ঘটনার তদন্তে নয়া মোড় মেলে। দুর্ঘটনার পরের দিন বৃহস্পতিবার তদন্তকারীরা বিধ্বস্ত ভারতীয় বায়ুসেনার Mi-17V5 হেলিকপ্টার থেকে ব্ল্যাক বক্স (black box) উদ্ধার করেন। ফ্লাইট রেকর্ডার নামে পরিচিত ব্ল্যাক বক্সটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনার আগে চূড়ান্ত মিনিটের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারে বলে মনে করেন তদন্তকারীরা। সরকারি সূত্র জানায়, তদন্তকারীরা দুর্ঘটনাস্থলের ৩০০ মিটার থেকে এক কিলোমিটার পর্যন্ত অনুসন্ধান করেন। এরই মাঝে উদ্ধার হয় ভেঙে পড়া কপ্টারটির ব্ল্যাক বক্স।