যদিও নিরাপত্তা বাহিনী প্রথমে সন্ত্রাসীদের আত্মসমর্পণের জন্য সতর্ক করেছিল বলে জানা যায়। কিন্তু সন্ত্রাসীরা তা উপেক্ষা করে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। তখনই পাল্টা জবাব দেয় সেনা।
অশান্তি থামছে না কাশ্মীরে(Kashmir)। গত কয়েক মাসে বারবারে জঙ্গি সংঘর্ষে(militant attacks) উত্তপ্ত হয়ে উঠছে উপত্যকা। এবার ফের রবিবার সাতসকালেই জম্মু-কাশ্মীরের(Jammu and Kashmir) পুলওয়ামা জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী(Indian Army) এবং সন্ত্রাসীদের মধ্যে একটি এনকাউন্টার শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে৷ জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের তরফে এই তথ্য মিলেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, দক্ষিণ কাশ্মীর(South Kashmir) জেলার অবন্তিপোরার বারগাম এলাকায় সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পরে নিরাপত্তা বাহিনী একটি অনুসন্ধান অভিযান শুরু করে। আর তাতেই চাপে পড়ে এই এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে থাকা উগ্রবাদীরা। সেনার মুখোমুখি হতেই শুরু হয় গুলি বর্ষণ। এদিকে সাত সকালে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা উপত্যকাতেই।
তবে নিরাপত্তা বাহিনীও পাল্টা জবাব দিচ্ছে বলে খবর। যদিও নিরাপত্তা বাহিনী প্রথমে সন্ত্রাসীদের আত্মসমর্পণের জন্য সতর্ক করেছিল বলে জানা যায়। কিন্তু সন্ত্রাসীরা তা উপেক্ষা করে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। তখনই পাল্টা জবাব দেয় সেনা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত একজন সন্ত্রাসীকে নিকেশ করতে সক্ষম হয়েছে সেনা। কাশ্মীরের আইজি বিজয় কুমারও এক সন্ত্রাসীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সন্ত্রাসীদের সংখ্যা প্রায় তিন বলে জানা গেছে। বর্তমানে উভয় পক্ষ থেকে গোলাগুলি চলছে। নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশ পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে। আশেপাশের লোকজনকে লাউডস্পিকারের মাধ্যমে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- চাপে কেন্দ্র, BSF-র ক্ষমতা বৃদ্ধির বিরোধীতায় সুপ্রিম কোর্টে পাঞ্জাব সরকার
পুলিশ সূত্রে খবর, অবন্তিপোরা এনকাউন্টারে নিহত সন্ত্রাসী সমীর আহমেদ জৈশ-ই-মহম্মদ সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য বলে জানা যাচ্ছে। তার বাড়িতে আদতে বড়গামেই বলে খবর। গত ২ নভেম্বর তিনি সন্ত্রাসী সংগঠনে যোগ দেন। নিহত জঙ্গি সি ক্যাটাগরির সন্ত্রাসী বলে সেনা সূত্রে খবর। বর্তমানে আশপাশের এলাকায় জোরদার তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এদিকে এর আগে ৮ ডিসেম্বর, জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর এনকাউন্টারে তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, শোপিয়ানের চক-ই-চোলান গ্রামে সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে পেয়েছিল সেনা। তারপরই শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। তখনই সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই মারা যায় তিন সন্ত্রাসী। তবে ওই দিন দিনভর চলে গুলির লড়াই। নিহত সন্ত্রাসীদের চিহ্নিতও করেছে সেনা। তালিকায় রয়েছে আমির হুসেন, রইস আহমেদ এবং হাসিব ইউসুফ।