সংক্ষিপ্ত

বিএসএফের কাজের এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতা করে এবার সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল পাঞ্জাব সরকার। পাঞ্জাব সরকারের দায়ের করা মামলায় প্রেক্ষিতে আবার কেন্দ্রকে নোটিশও পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত।

বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি(BSF Power Growth) নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত(Center-State Conflict) লেগেই ছিল। বাংলার পাশাপাশি কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছিল কংগ্রেস শাসিত পঞ্জাবও(Punjab Government)। এবার বিএসএফের(BSF) কাজের এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতা করে এবার সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল পঞ্জাব সরকার। পাঞ্জাব সরকারের দায়ের করা মামলায় প্রেক্ষিতে আবার কেন্দ্রকে নোটিশও পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। শনিবার সুপ্রিম কোর্টের(Supreme Court) রেজিস্ট্রার অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে নোটিশ জারি করে কেন্দ্রীয় সরকারকে তাদের বক্তব্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন। যা নিয়ে ফের ফের জোরদার চাপানউতর শুরু হয়েছে দিল্লির রাজ্য-রাজনীতিতে।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪ সপ্তাহ বাদে এই মামলার শুনানি হবে। সংবিধানের ১৩১ নং ধারায় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পঞ্জাব সরকার। মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, একতরফা ভাবে কেন্দ্রের(Central Government) এই সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক(Unconstitutional)। সুপ্রিম কোর্টে করা আবেদনে স্পষ্টতই বলা, বিএসএফের(BSF) কাজের এক্তিয়ার বাড়ানোর জেরে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে পাঞ্জাব। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান না করলে সমস্যা আরও বাড়বে। এদিকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের ১৫ কিলোমিটার ভিতর পর্যন্ত এতদিন তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত এবং গ্রেফতারি চালাতে পারত বিএসএফ। কিন্তু বিএসএফ-র সেই ক্ষমতাই এবার বৃদ্ধি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পুরনো নিয়মে বদলে এনে, বিএসএফ-র ক্ষমতার এক্তিয়ার ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করে দিয়েছে।

আরও পড়ুন-প্রশাসনিক সভায় কেন ডাক পাচ্ছেন না বিজেপি বিধায়কেরা, সাংসদের প্রশ্নে দানা বাঁধছে বিতর্ক

এদিকে পাঞ্জাব সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়ে ইতিমধ্যেই জোরদার আলোচনা শুরু হয়েছে দেশের রাজনৈতিক মহলে। প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। এদিকে বিএসএফ-র ক্ষমতা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাব-সহ কয়েকটি রাজ্য। যা নিয়ে চাপানউতর চলছিলই গত মাস থেকে। এমতাবস্থায় পাঞ্জাব সরকার এবং সরকারের আইনি প্রতিনিধি দলকে অভিনন্দন জানিয়ে পাঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি নভজ্যোৎ সিং সিধু। টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, “রাজ্যগুলির গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো এবং স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখার জন্য সংবিধানের মূল নীতিগুলি ধরে রাখার লড়াই শুরু হয়েছে।" এদিকে সংবিধানের ১৩১ নং ধারা অনুযায়ী, কেন্দ্র ও কোনও রাজ্যের মধ্যে কোনও মতানৈক্য তৈরি হলে সুপ্রিম কোর্টের এক্তিয়ার রয়েছে তা মীমাংসায় হস্তক্ষেপ করা। আর ক্ষমতা বলেই এবার কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বদল চাইছে পঞ্জাব সরকার। তবে এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের(Supreme Court Judgment) বিচারপতিরা আগামীতে কী রায় দেন এখন সেটাই দেখার। অন্যদিকে পঞ্জাব সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলার শাসক দলও।