আরিয়ান খান মামলায় সিবিআই-এর আতসকাচের তলায় সমীর ওয়াংখেড়ে, নজরে বহুমূল্যবান ঘরি আর বিদেশ সফর

আরিয়ান খান মামলায় বিপর্যস্ত প্রাক্তন এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে। তাঁর দামি ঘড়ি থেকে বিদেশ সফর - সবই খতিয়ে দেখেছে সিবিআই।

 

Saborni Mitra | Published : May 15, 2023 11:32 AM IST

আরিয়ান খান মামলায় রীতিমত বিপর্যস্ত প্রাক্তন এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে। কারণ ড্রাগ অন ক্রুজ মামলায় শাহরুখ খানের ছেলে অরিয়ান খানকে রেহাই দেওয়ার জন্য তিনি অভিনেতার থেকে ২৫ কোটি টাকা ঘুষ হিসেবে দাবি করেছিলেন। সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর সেই কারণেই সমীর ওয়াংখেড়ের বিদেশ সফর থেকে তাঁর বহুমূল্যের ঘড়ি কেনা বেচা এবার সিবিআই-এর আতশকাচের তলায়। আগেই নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর বিশেষ তদন্তকারী দল ওয়াংড়ে যখন এনসিবি-র ডিরেক্টর ছিলেন সেই সময় তাঁর বিদেশ সফরের খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। কারণ সেই সময়ই তাঁর ব্যায় আর আয়ের সঙ্গে ব্যায়ের অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল।

এনসিবি -র বিশেষ তদন্তকারী দল সমীর ওয়াংখেড়ে ও তার চার সহযোগীর বিরুদ্ধে একটি রিপোর্ট সিবিআই-র কাছে পাঠিয়েছিল। যা সিবিআই ১১মে ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর-নথিভুক্ত করেছে। এনসিবি-র সিট-এর অনুসন্ধান রিপোর্ট যা এফআইআর-এর অংশ সেখানে বলা হয়েছে, 'সমীর ওয়াংখেড়ে বিদেশ সফরের উৎস সঠিকভাবে ঘোষণা করেন। দফতরের উর্ধ্বতন কর্তাদের না জানিয়েই বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন। ভাইরাজ রাজনের সঙ্গে বহু মূল্যবান রিস্টওয়াচ কেনাবেচার সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছেন।' সোমবার এফআইআর রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, স্বাধীন সাক্ষী কেপি গোসাভি ও প্রভাকর সেল (মৃত্যু হয়েছে) সমীর ওয়াংখেড়ের নির্দেশে কার্ডেলিয়া ক্রুজে শিপ ড্রাগ অভিযানে গিয়েছিল। গোসাভি তাঁর সহযোগী সানভিল ডিসুজার ও অন্যান্যদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান ও তার পরিবারের সদস্যগের সঙ্গ ২৫ কোটি টাকা ঘুষ আদায় করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন আরিয়ান খানকে ফাঁসানো হবে না তারা যদি এই পরিমাণ টাকা দিয়ে দে। পরবর্তী সময় দর কষাকষি করে সেই টাকার অঙ্ক ১৮ কোটিতে নামিয়ে আনা হয় তবে ৫০ লক্ষ টাকা আদায়ও করেছিলেন। কিন্তু পরে অর্থের একটি অংশ ফেরতও দিয়েছিলেন।

এফআইআর-এ আরও বলা হয়েছে , আরিয়ান খান ও ড্রান অন ক্রুজ মামলায় অন্যান্য সন্দেহভাজনদের ২০২১ সালের ২ অক্টোবর গোসাভির নিজের গাড়িতে করেই এনসিবি অফিসে আনা হয়েছিল। এনসিবি-র কোনও গাড়ি ব্যবহার করা হয়নি। পাশাপাশি এনসিবি অফিসে বলে আরিয়ান খানের সঙ্গে ছবি তোলার ও তার কথা বলা রেকর্ড করারও অনুমতি দিয়েছিলেন ওয়াংখেড়ে। আর এই দুটিই শাহরুখ খানের থেকে টাকা আদায়ের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই কারণেই সিবিআই-এর স্ক্যানারে রয়েছে ওয়াংখেড়ে। NCB-এর SET বলেছে যে কিছু সন্দেহভাজন ব্যক্তির নাম তথ্য নোট 'আই-নোট' থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল এবং পরবর্তীতে কার্যধারার জন্য পরিবর্তনের মাধ্যমে কিছু অন্যান্য নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। প্রাথমিক আই-নোটে ২৭টি নাম ছিল এবং পরিবর্তিত আই-নোটে মাত্র ১০টি নাম রয়েছে। আর সেই কারণে সমস্ত সন্দেহ গিয়ে পড়েছে তদন্তকারী অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের ওপর।

আরও পড়ুনঃ

বজরংদল ইস্যুতে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলায় খাড়গেকে নোটিশ, অস্বস্তিতে কংগ্রেস

কংগ্রেসের 'কাঁটা' মুখ্যমন্ত্রী পদ, ৭২ ঘণ্টা পরে ডিকে শিবকুমার-সিদ্দারামাইয়ার মধ্যে দড়ি টানাটানি চলছে

আরিয়ান খান মাদক মামলার স্বস্তি শাহরুখের ঘরে, পাল্টা বদলির 'কোপ' সমীর ওয়াংখেড়ের ওপর

 

Read more Articles on
Share this article
click me!