
কর্ণাটকে বিরাট সাফল্য পেতেও স্বস্তি নেই কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গের। পঞ্জাবের একটি আদালত বজরং দলের মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ ও কর্ণাটকের কংগ্রেসের ইস্তেহারে নিষিদ্ধ পিএফআই-এর সঙ্গে বজরং দলের তুলনা করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেছিল। সেই মামলাতেই এদিন নোটিশ পাঠান হয়েছে কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। হিন্দু সুরক্ষা পরিষদের জাতীয় সভারতি হিতেশ ভরদ্বাজের দায়ের করা আবেদনের ভিত্তিতে ১২ মে আদালত এই নোটিশ জারি করেছিল। আগামী ১০ জুলাই এই নোটিশের জবাব দিতে হবে মল্লিকার্জুন খাড়গেকে।
আদালতের আবেদনপত্রে হিন্দু সুরক্ষা পরিষদের পক্ষ আইনজীবী ললিত গর্গ বলেছেন, কর্ণাটের নির্বাচনের জন্য একটি নির্বাচনী ইস্তেহার জারি করা হয়েছিল। সেই ইস্তাহারের ১০ নম্বর অনুচ্ছেদে বিবাদী হিন্দু সুরক্ষা পরিষদের একটি ইউনিট বজরং দলের বিরুদ্ধে মানহানিকর বিবৃতি জারি করা হয়েছে। নিষিদ্ধ ঘোষণার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস পুপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার মত নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে বজরং দলের তুলনা করেছে। যা অত্যান্ত মানহানিকর। হিন্দু সুরক্ষা পরিষদের সদস্যদের মানসম্মান ক্ষুন্ন করেছে। যাদের সংখ্যা ১ কোটিরও বেশি। ভগবান হনুমানের অনুগামীদেরও মানহানি হয়েছে এই বিষয়ে। অনেকেই রয়েছে যারা হনুমানের পুজো আর শ্রদ্ধা করে।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার গত বছরই পিএফআইকে নিষিদ্ধ করেছিল। আবেদনকারীর আইনজীবী ললিত গর্গ বলেছেন এই বিষয়ে কয়েক দিন আগেই মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন হিতেশ ভরদ্বাজ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দাবি করেছে বজরং দল ধর্মীয় সংগঠন। মানবজাতির সেবায় নিবেদিত প্রাণ। আর সেই কারণে বজরং দলের পরিচয়পত্র অপ্রতিরোধ্য। এটি সার্বজনীন সংগঠন। কিন্তু কংগ্রেস নির্বাচনী ইস্তেহারে বজরং দলের বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য করেছে। তাতে বজরং দলের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। বজরং দলকে উপহাস করা হয়েছে, অবজ্ঞা করা হয়েছে বলেও আইনি নোটিশে অভিযোগ জানান হয়েছে।
কর্ণাটকের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ হয়েছিল ২ মে। কংগ্রেস বলেছিল তারা বজরং গল ও পিএফআই-এর মত ব্যক্তি ও সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে জাতপাতের ভিত্তিতে সম্প্রাদয়ের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে। প্রয়োজনে তারা এজাতীয় সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করবে। কংগ্রেসের ইস্তাহার প্রকাশের পর থেকেই কর্ণাটক ভোটে বজরংবলি ও বজরং দল ইস্যু হয়ে গিয়েছিল। মোদী আমিত শাহ তীব্র সমালোচনা করেছিল কংগ্রেসের। যাইহোক কর্ণাটক নির্বাচনে ২২৪ আসনের মধ্যে ১৩৫টি আসন দখল করে কংগ্রেস সরকার গঠন করতে চলেছে।