স্বাভিমানি রিপাব্লিকান পার্টি ও ভীম আর্মি- এই দুটি দলিত দল সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। তাদের অভিযোগ সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য সমীর ওয়াংখেড়ে জাল কাস্ট সার্টিফিকেট দাখিল করেছিলেন।
ফাঁড়া কাটছে না নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (NCB) আধিকারিক সমীর ওয়াখেড়ের (Sameer Wankhede)। বলিউড স্টার শাহরুখ খানের (Shah Rukh Kahan) ছেলে আরিয়ান খান (Aryan Khan) মামলায় অন্যতম আধিকারিক তিনি। তিনিই বিলাসবহুল ক্রুজ থেকে আরিয়ান ও তার সঙ্গীদের গ্রেফতার করেছিলেন। যদিও তারা এখন সকলেই জামিনে মুক্তি। কিন্তু এখনও রেহাই পেলেন না সমীর ওয়াংখেড়ে। এতদিন শুধু মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা নবাবা মালিকে তোপ সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু এবার এনসিবি কর্তার বিরুদ্ধে আসরে নামল দুটি দলিত গ্রুপ। দুটি দলিত দলের সদস্যরা এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। তাদের অভিযোগ মিথ্যা কাস্ট শাংসাপত্র দিয়েছে সরকারি চাকরি পেয়েছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে।
স্বাভিমানি রিপাব্লিকান পার্টি ও ভীম আর্মি- এই দুটি দলিত দল সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। তাদের অভিযোগ সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য সমীর ওয়াংখেড়ে জাল কাস্ট সার্টিফিকেট দাখিল করেছিলেন। এনসি কোটায় চাকরি পাওয়ার জন্যই তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন করেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
Defence News: পারমাণবিক অস্ত্রে এগিয়ে পাকিস্তান-চিন, নতুন রিপোর্ট অশনি সংকেত ভারতের কাছে
কয়েক দিন আগেই এনসিপি নেতা নবাব মালিক সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে কাস্ট সার্টিফিকেট নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সমীর দাউদ ওয়াংখেড়ে প্রতারণা করে সরকারি চাকরি পেয়েছেন। আইআরএস চাকরি পাওয়ার জন্য জাল সার্টিফিকেটও দাখিল করেছিলেন তিনি। প্রথম সমীর ওয়াংখেড়ে প্রথম রেভিনিউ সার্ভিসে জয়েন করেছিলেন। নবাব মালিকের অভিযোগ ছিল সমীর ওয়াংখেড়ে জন্মসূত্রে মুসলিম। কিন্তু রাজস্ব পরিষেবার চাকরিতে যোগদান করার জন্য তিনি জাল শংসাপত্র দাখিল করেছিলেন।
সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠার পরপরই তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল জাতীয় কাস্ট কমিশনের সদস্যরা। সমীর ওয়াংখেড়ের সংশাপত্রগুলি তারা খতিয়ে দেখেছে।
আরিয়ান খান মাদকমামলায় অন্যতম তদন্তকারী অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে। এই অবস্থায় শাহরুখ পুত্রকে গ্রেফতারের পর একাধিকবার তাঁকে হেনস্থা হতে হয়েছে। তবে তিনি নিজের দায়িত্বে অটল থাকবেন বলেও জানিয়েছে। বলিউডকে মাদক মুক্ত করতে চান বলেও ঘনিষ্ট মহলে দাবি করে থাকেন তিনি। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ সমীর তলে তলে তোলাবাজির ব়্যাকেট চালান।এই বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত। অভিযোগ আরিয়ান খানকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তিনি ২৫ কোটি টাকা চেয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই এই মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ।