সংক্ষিপ্ত
সীমান্তে মোতায়েন ভারতীয় সেনা জওয়ানরাও এদিন দেশের নাগরিকদের দীপাবলির শুভাচ্ছা জানিয়েছেন। কার্গিল, লাদাখ, সিয়াচেন হিমবাহে প্রতিকূল আবহাওয়াও দেশের নিরাপত্তার কাজে মোতায়েন রয়েছে প্রচুর সেনা জওয়ান।
ক্রিকেট থেকে সীমান্ত, এমনকি রাষ্ট্র সংঘের মঞ্চ- সর্বত্রই বিবাদ মান ভারত ও পাকিস্তান (India And Pakistan)। কিন্তু দীপাবলি শুভক্ষণে সেই হানাহানি দূরে সরিয়ে দুই দেশেরই সেনা বাহিনী সৌহার্দ্যের বার্তা দিল। বৃহস্পতিবার দিওয়ালি (Diwali) উপলক্ষ্যে নিয়ন্ত্রণ রেখায় তিথওয়াল ক্রসিং- ব্রিজে মিষ্টি বিনিয়ন করেছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফ (BSF) ও পাকিস্তান (Pakistan) রেঞ্জার্স। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে এদিনই একই সঙ্গে ওটারি-ওয়াঘা ও গুজরাটের ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্ত, ও রাজস্থানের বারমের সেক্টরেও দুই দেশের সেনা বাহিনী একে অপরের হাতে মিষ্টির বাক্স তুলে দেয়। পাশপাশি দুই দেশের সেনা বাহিনীও একে অপরকে শুভেচ্ছা জানান।
ঈদ, হলি, দীপাবলিসহ দুই দেশের জাতীয় দিবসে সীমান্ত এলাকায় দুই দেশের সেনা বাহিনীর মিষ্টি বিনিময় করে। দীর্ঘ দিনের একটি ঐতিহ্য এটি। পাশাপাশি সীমান্তে সেনা ছাউনিগুলিও সাজানো হয়। শুধু পাকিস্তানই নয়। প্রতিবেশী বাংলাদেশের সেনা বাহিনীকেও এই বিশেষ দিনে ভারতীয় জওয়ানরা শুভেচ্ছা জানিয়েছে। উৎসব উপলক্ষ্যে ভারত- বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীনমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সঙ্গে বিএসএফ জওয়ানরা মিষ্টি বিনিয়ম করে গতকাল রাতেও।
অন্যদিকে সীমান্তে মোতায়েন ভারতীয় সেনা জওয়ানরাও এদিন দেশের নাগরিকদের দীপাবলির শুভাচ্ছা জানিয়েছেন। কার্গিল, লাদাখ, সিয়াচেন হিমবাহে প্রতিকূল আবহাওয়াও দেশের নিরাপত্তার কাজে মোতায়েন রয়েছে প্রচুর সেনা জওয়ান। দীপবলির শুভক্ষণে তাঁরা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন তাঁরা আমার-আপনার নিরপাত্তায় সদা সর্বদা সতর্ক রয়েছে। দেশের নিরাপত্তা তাঁরা ব্রতী। পাশাপাশি সেনা জওয়ানরা জানিয়েছেন তাঁরা সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে। কিন্তু দেশের উন্নয়েনের দায়িত্ব নিতে হবে দেশের সাধারণ নাগরিকদের। পাশাপাশি দেশের প্রতিটি মানুষ যাতে নিশ্চিন্তে উৎসব পালন করেন, দেশ যাতে সমৃদ্ধ হয় তারও বার্তা দিয়েছেন তাঁরা।
Defence News: পারমাণবিক অস্ত্রে এগিয়ে পাকিস্তান-চিন, নতুন রিপোর্ট অশনি সংকেত ভারতের কাছে
Nuclear Weapons: দ্রুত পরমাণু অস্ত্রের সম্ভার বাড়াচ্ছে চিন, আমেরিকার 'মনগড়া গল্প' বলে ওড়াল বেজিং
Diwali in Ayodhya: সরযূর তীরে আলোর মেলা, লক্ষ লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে বিশ্ব রেকর্ড করল রামনগরী অযোধ্যা
দীপাবলি উৎসব পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতাবার সকালেই জম্মু ও কাশ্মীর পৌঁছে গিয়েছিলেন। রাজৌরির নওশেরা সেক্টরে পৌঁছে তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মী ও আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপরই তিনি চলে যান ফরোয়ার্ড এলাকায়। সেনা জওয়ানদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'আমি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দীপাবলির উৎসব পালন করতে চাই। তাই উৎসবের বিশেষ দিনে আপনাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছি।' দেশের সেনা জওয়ানদের তিনি দেশের সুরক্ষা কবচ বলেও উল্লেখ করেন। নওশেরা সেক্টের কর্তব্যরত সেনা কর্মীরাও প্রধানমন্ত্রীর মোদীর সামনে 'ভারতমাতা কি জয় স্লোগান দেন।'
এদিন সেনা জওয়ানদের পাশাপাশি প্রতিপক্ষ দেশগুলির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন পরিবর্তিত বিশ্ব ও যুদ্ধের পদ্ধতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভারতকে সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আর দেশ সেইদিকেই হাঁটছে। তিনি আরও বলেন আগে নিরাপত্তার বাহিনীর জন্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে কয়েক বছর লেগে যেত। কিন্তু প্রতিরক্ষাখাতে স্বনির্ভরতার বর্তমানে সেই প্রক্রিয়া অনেকটাই দ্রুত করে দিয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন ভারত এখন আর প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানির জন্য বিদেশি রাষ্ট্রের ওপর নির্ভারত করে না। বেশিরভার সরঞ্জামই দেশে তৈরি হয়।