নবম বার্ষিকীতে এমন প্রকল্পগুলিকে প্রচার করা হবে যেগুলি গোটা দেশে বিপুল সংখ্যক মানুষের জীবনকে স্পর্শ করেছে। তাদের জীবন যাত্রার মান উন্নত করছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই নবম বার্ষিকী অনুষ্ঠানকে সাজান হচ্ছে।
আগামী মাসে কেন্দ্রের মোদী সরকার নবম বার্ষিকী উদযাপন করবে। লোকসভা নির্বাচনের মাত্র এক বছর আগে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর- যেখানে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তার কল্যাণমূলক উদ্যোগ আরও একবার দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরতে চায়। দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে কেন্দ্রীয় সরকার কী কী জনকল্যাণমূলক কাজ করতে সেগুলিকে হাইলাইট করার দিকেই মন দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় সরকারের আমলা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের জনকল্যাণমূলক নীতির দ্বারা মানুষ পরোক্ষে কীকী সুবিধে পাচ্ছে তাও তুলে ধরার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রের খবর নবম বার্ষিকীতে এমন প্রকল্পগুলিকে প্রচার করা হবে যেগুলি গোটা দেশে বিপুল সংখ্যক মানুষের জীবনকে স্পর্শ করেছে। তাদের জীবন যাত্রার মান উন্নত করছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই নবম বার্ষিকী অনুষ্ঠানকে সাজান হচ্ছে। সূত্রের খবর আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের নীল নকশা এখন থেকেই তৈরি করতে মরিয়া চেষ্টা করছে বিজেপি সরকার। ক্ষমতাসীন বিজেপি দুটি দফায় জনকল্যাণমূলক গুলিকে হাতিয়ার করেই নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাইছে।
যেমন- প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা- দরিদ্রদের বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস সংযোগ প্রদান। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি এই প্রকল্পের মাধ্যে দেশের কোটি কোটি মহিলা উপকৃত হয়েছেন। কারণ তাদের আর ধোঁয়ার মধ্যে রান্না করতে হয় না। জ্বালানি সরবরাহের জন্য সমস্যা ভোগ করতে হয় না। পাশাপাশি ধোঁয়ায় আগে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকত - এখন তাও দূর হয়েছে। বিজেপি সরকারের দাবি রান্নার জন্য জ্বালানি সংগ্রহ করতে আর বাড়ির বাইরে গিয়ে কাঠকুটো খুঁজতে হয় না মহিলাদের। তারা অবসর সময়ে পয়সা উপার্জনের দিকে বেশি জোর দিতে পারে।
শৌচাগার প্রকল্প
বর্তমানে ভারতে বিজেপি সরকারের আমলে কোটি কোটি শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে। পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দিয়ে স্বচ্ছ ভারত প্রকল্প চালু করেছিলেন মোদী। তারই অঙ্গ প্রতি বাড়িতে শৌচাগার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রচুর মানুষ উপকৃত হয়েছেন। রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া গিয়েছে।
নল সে জল
এই প্রকল্পের কথাও তুলে ধরতে পারে মোদী সরকার। প্রথমবারের মত প্রায় কোটি কোটি পরিবার বিশুদ্ধ জলে পাচ্ছে বাড়িতে বসেই। এই প্রকল্পের মাধ্যমেও মহিলারা সুবিধে হয়েছে। তাদের দূরবর্তী স্থানে জলের জন্য যেতে হয় না। বিশুদ্ধ পানীয় জল শিশু মৃত্যুর হার কমিয়েছে বলেও দাবি কেন্দ্র সরকারের।
সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় এই প্রকল্পগুলি থেকে যেতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সুবিধে পাওয়ার বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হবে। সেগুলিকেই হাইলাইট করা চেষ্টা করা হচ্ছে।