'ফিরেই মেয়ের ছবি জড়িয়ে ধরেছিলাম', লড়াই আজ শেষ নয়, আশা দেবী বলছেন শুরু

অবশেষে ফাঁসি দেওয়া হল নির্ভয়া কাণ্ডের আসামিদের

তার আগে সারারাত হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে চলে মামলা

সেই মামলা জিতে বাড়ি ফিরেই মেয়ের ছবি জড়িয়ে ধরেছিলেন

ফাঁসির পর কি জানালেন নির্ঙয়ার মা

amartya lahiri | Published : Mar 20, 2020 12:52 AM IST / Updated: Mar 20 2020, 05:39 PM IST

'সুপ্রিম কোর্ট থেকে ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমি আমার মেয়ের ছবিটি জড়িয়ে ধরেছিলাম আর বলেছিলাম আজ তুই ন্যায়বিচার পেয়েছিস'। তিহার জেল কর্তৃপক্ষ শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটার কিছু পরে ২০১২ সালের দিল্লি গণধর্ষণ ও হত্য়া মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে নিশ্চিত করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন নির্ভয়ার মা আশা দেবী।

আরও পড়ুন - পৈশাচিক অত্যাচারের একমাত্র সাক্ষী, কেমন আছেন নির্ভয়ার সেই পুরুষ বন্ধু

বৃহস্পতিবার সারা দিন এবং তারপর আবার শুক্রবার ভোর পর্যন্ত সারারাত নিদ্রাহীন, বিশ্রামহীন। চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপ রয়েছে। কিন্তু তার থেকেও বেশি রয়েছে প্রশান্তির ছাপ। বিচার যখন ক্রমেই লম্বা হচ্ছে তখন একদিন আদালত থেকে বেরিয়ে জানিয়েছিলেন, আদালতে ওই ভয়ঙ্কর আসামিদের যখনই দেখেন তখনি মেয়ের যন্ত্রণাকাতর মুখটা ভেসে ওঠে তাঁর মনে। আর সেই সঙ্গে মেয়ের শেষ ইচ্ছা, আসামিদের যেন ছাড় না দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার, গোটা দিন একবার নিম্ন আদালত, একবার সুপ্রিম কোর্চ করে কেটেছে। চার-চারচি মামলার শুনানি-তে ঠায় বসে থেকেছেন। সবকিছু যখন ঠিকঠাক তখন আবার আসামি পক্ষের উকিল রাত ৯টা নাগাদ ছুটলেন দিল্লি হাইকোর্টে। অগত্যা, আশা দেবী ও নির্ভয়ার বাবাও যান সেখানে। ১২টার সময় রায় দেওয়া হয়। তারপর আবার রাত ২.৩০টের সময় মামলা শুরু হয় সুপ্রিমকোর্টে। নির্ভয়ার বাবা-মা ফের আসেন শীর্ষ আদালতে। সেখানে একঘন্টার শুনানি শেষে ফাঁসি হওয়া নিশ্চিত করে ফেরেন বাড়িতে। তারপর ভালো করে চোখে মুখে জল দিতে না দিতেই আসে সুখবর। এত পরিশ্রমের পরও তাই সেই আসামিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর আশ্চর্য প্রশান্তি তাঁর মনে, যা প্রতিফলিত হচ্ছে তাঁর চোখেমুখে।   

আরও পড়ুন - ফাঁসির আগের রাতে কেঁদে ভাসাল চার নরপিশাচ, শোনানো হল গীতা

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আশাদেবী জানান, অবশেষে আসামিদের ফাঁসি হওয়াতে তাঁদের দীর্ঘ লড়াই শেষ হল। আজ তাঁরা ন্যায়বিচার পেয়েছেন। , এই দিনটি দেশের সব কন্যাদের জন্য উৎসর্গ করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে বিচার বিভাগ ও সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমাদের মেয়ে আর নেই এবং ফিরে আসবে না। ও আমাদের ছেড়ে যাওয়ার পর আমরা এই লড়াই শুরু করেছিলাম। শুরুতে এই লড়াই ছিল শুধু ওর জন্য, কিন্তু এখন আমরা আমাদের অন্যান্য মেয়েদের জন্য এই লড়াই ভবিষ্যতেও চালিয়ে যাব'।

আরও পড়ুন - 'এতটা নিষ্ঠুর হতে পারে', নির্ভয়াকে প্রথম দেখে কেঁদে ফেলেছিলেন ডাক্তারও

Share this article
click me!