কম দামে গরিব ও অসহায় মানুষের কিডনি মোটা টাকায় বেচে চলছে মুনাফা লুটছে কয়েকজন। আর এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বিজেপি শাসিত অসমে। সেই কিডনি বিক্রি করতে অনেকেই নাকি পাড়ি দিচ্ছেন বাংলায়।
দেশে করোনা থাবা বসানোর সঙ্গে সঙ্গে জারি হয়েছিল লকডাউন। সেই সময় সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল একাধিক অফিস, কারখানা। অফিস বন্ধ থাকার ফলে বেতন দেওয়াও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকী, ওই সময় কাজ হারান বহু মানুষ। এরপর পরিস্থিতি ঠিক হওয়ার পর শুরু হয় আনলক প্রক্রিয়া। কিন্তু, ততক্ষণে বহু মানুষ বেকার হয়ে গিয়েছেন। তাই পেটের টানে কোনও কাজ না পেয়ে সংসার চালানোর জন্য নিজের কিডনি বিক্রির করার পথ বেছে নেন অনেকেই। এভাবেই শুরু হয়েছে কিডনি পাচার চক্র। কম দামে গরিব ও অসহায় মানুষের কিডনি মোটা টাকায় বেচে চলছে মুনাফা লুটছে কয়েকজন। আর এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বিজেপি শাসিত অসমে। সেই কিডনি বিক্রি করতে অনেকেই নাকি পাড়ি দিচ্ছেন বাংলায়। এ নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন লোকসভায় কংগ্রেসের উপনেতা গৌরব গগৈ।
আরও পড়ুন- মর্মান্তিক! কুয়োয় পড়া কিশোরীর প্রাণ বাঁচাতে জীবন বাজি রাখলেন ৩০ জন, এখনও পর্যন্ত নিহত ৪
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীকে এই চিঠি পাঠান অসমের কালিয়াবোরে কংগ্রেস সাংসদ। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, "বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে প্রকাশ পেয়েছে অসমের বিভিন্ন জেলায় মানব অঙ্গ পাচার চক্র সক্রিয় হয়েছে। গ্রামবাসীদের বয়ান অনুযায়ী, গ্রামের গরিব মানুষদের মূলত টার্গেট করেছে ওই পাচারচক্রটি। ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাঁদের কিডনি নিয়ে নেওয়া হচ্ছে।"
আর এই পাচারের সূত্র মিলেছে কলকাতায়। চিঠিতে এই কথাও উল্লেখ করেছেন কংগ্রেস সংসাদ। তাই এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে মমতাকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যের সাধারণ মানুষের অবস্থা যে কতটা শোচনীয় হয়ে উঠেছে তার একটা ছবি ওই চিঠির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন কংগ্রেস সাংসদ। এ বিষয়ে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। এই চক্রের হাত থেকে গরিব ও অসহায় মানুষকে রক্ষা করতে মমতার প্রশাসনকে তদন্ত করার অনুরোধ করেছেন।