আসামের কয়লা খনিতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আটকা: আসামের একটি কয়লা খনিতে বহু সংখ্যক শ্রমিক আটকা পড়েছেন। অবৈধ র্যাট হোল খনিতে জল ঢুকে পড়ায় বেশ কয়েকজন শ্রমিকের জীবন বিপন্ন। ঘটনাটি রাজ্যের ডিমা হাসাও জেলার উমরংসোর। এখানে খনিতে ৩০০ ফুট গভীরে শ্রমিকরা আটকা পড়েছেন। এই খনিটি আসাম-মেঘালয় সীমান্তের কাছে একটি শিল্প এলাকায় অবস্থিত। পুলিশ এবং অন্যান্য উদ্ধারকারী দল শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে কিন্তু জল বেশি থাকায় সমস্যা হচ্ছে।
প্রকৃতপক্ষে, র্যাট হোল কয়লা খনির উপর এনজিটি এবং অন্যান্য সংস্থা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, কিন্তু রাজ্যে এই অবৈধ ব্যবসা জোরেশোরে চলছে। র্যাট হোল কয়লা খনিকে পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। উমরংসোতে যেখানে শ্রমিকরা আটকা পড়েছেন সেই কয়লা খনিটিও অবৈধ। শিল্প এলাকায় অবৈধভাবে চলা খনিতে হঠাৎ জল ঢুকে শ্রমিকরা আটকা পড়েছেন। খনিতে প্রায় ১০০ ফুট পর্যন্ত জল ভরে গেছে। পুলিশ এবং উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে জল সরানোর জন্য দুটি মোটর পাম্প ব্যবহার করছে।
খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য রাজ্য দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনী (এসডিআরএফ) এবং জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনী (এনডিআরএফ) এর দলও পৌঁছেছে। অপরদিকে, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনীর সাহায্য চেয়েছেন।
২০১৮ সালে মেঘালয়ের পূর্ব জৈন্তিয়া পাহাড় জেলায় একটি অবৈধ খনিতে জল ঢুকে ১৫ জন শ্রমিক আটকা পড়েছিলেন। সেই সময় মাত্র দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। অন্যান্য শ্রমিকদের বাইরে আনা সম্ভব হয়নি এবং তারা কয়লা খনিতেই সমাধিস্থ হয়েছিলেন।
অবৈধ খনন বন্ধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় জাতীয় পরিবেশ ট্রাইবুনাল (এনজিটি) ২০১৯ সালে মেঘালয় সরকারকে ১০০ কোটি টাকা জরিমানা করেছিল। এনজিটির মতে, রাজ্যে বিদ্যমান ২৪,০০০ খনির বেশিরভাগই অবৈধ ছিল। এখন আসামে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনা অবৈধ খননের ঝুঁকি এবং প্রশাসনের দায়িত্ব নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছে।