বাড়ির বাগানে গাছ লাগাতে ভালবাসেন অনেকেই। অনেকের আবার রান্নাঘরের পাশের এক টুকরো জমিতেই সাজিয়ে নেন নিজের সাধের বাগান। কিন্তু কেউ কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে বাড়ির ছাদে জল জমিয়ে করা যায় মাছের চাষ? গুয়াহাটির এই ব্যক্তি যা করলেন, তাতে রীতিমতো তাক লেগে দিয়েছে সকলের।
অসমের পরিবেশ বিজ্ঞানী অমরজ্যোতি কশ্যপ-এর বুদ্ধিতেই রীতিমতো তাজ্জব বনে গিয়েছেন সকলে। অসমের হাতিগাঁও এলাকার বাসিন্দা অমরজ্যোতি নিজের বাড়ির ছাদে জল জমিয়ে একটি ছোটখাটো জলাশয় তৈরি করে তিনি শুরু করেছেন মাছের চাষ। কিন্তু কীভাবে এমন উপায় মাথায় এল তাঁর। তাঁর কথায়, শহরে পাথরের দেওয়ালের ভিড়ে জলাজমির অভাব দেখা দিয়েছে। দিনের পর দিন মানুষ নিজের প্রয়োজনেই বুজিয়ে ফেলছে জলাশয়। আর এই অবস্থায় জলাশয়ের মাছ চাষের পরিমাণও কমছে দিনে দিনে। আর এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে নিজের ছাদেই জল জমিয়ে তৈরি করে নিয়েছেন জলাধার এবং তাতেই জোড়কদমে চলছে মাছের চাষ।
পরিবেশ বিজ্ঞানী হওয়ার পাশাপাশি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও চালান তিনি। তাঁর কথায়, মাত্র ৫০ টাকা খরচ করলেই বাড়ির ছাদেই তৈরি করা যেতে পারে এমন জলাশয়। এভাবে বাড়িতেই মাছ চাষ করে করে খুলে যেতে পারে অতিরিক্ত আয়ের পথও। অমরজ্যোতি বাবু আরও জানান যে, ছাদের ওপর হাজার বর্গফুট জায়গা জুড়ে রয়েছে তাঁর জলাশয়, যা ১৪ ফুট চওড়া এবং ৪ ফুট গভীর। তিনি গত কয়েক মাস ধরে সেখানে গোল্ডেন কার্প মাছের চাষ শুরু করছেন।
সামরিক খাতে অর্থ খরচ কমাচ্ছে পাক সেনাবাহিনী, সিদ্ধান্তে খুশি ইমরান খান
এখানেই শেষ নয়। ২০০৫ সালে তিনি 'ওয়েস্ট অ্যাসিমিলেটর' নামে একটি যন্ত্রও তৈরি করেনষ, যা ঘরের বর্জ্যপদার্থকে পচিয়ে কীটনাশক-এ পরিণত করে দিতে পারে। তাঁর দাবি, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার লোক তাঁর এই যন্ত্র ব্যবহার করছেন। এর সাহায্যে খুব সহজেই কঠিন বর্জ্য থেকে তৈরি করা যায় জৈব সার। অমরজ্যোতি বাবুর এমন অভাবনীয় চিন্তাধারা আগামী দিনেও চাষাবাদের কাজে ভীষণভাবে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন বিশিষ্ট মহল।