রণক্ষেত্র অসম-মিজোরাম সীমানায় চলল গুলি, ২ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই অমিত শাহর দ্বারস্থ

Published : Jul 26, 2021, 05:45 PM IST
রণক্ষেত্র অসম-মিজোরাম সীমানায় চলল গুলি, ২ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই অমিত শাহর দ্বারস্থ

সংক্ষিপ্ত

সীমানা নিয়ে বিবাদের জেরে উত্তাল অসম-মিজোরামের বিস্তীর্ণ এলাকা। দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অমিত শাহর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।   

অসম ও মিজোরামের বিতর্কিত সীমানাকে কেন্দ্র করে আবার নতুন করে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার দুই প্রতিবেশী রাজ্যের সীমানাই উত্তপ্ত ওঠে গোলা বারুদের লড়াইকে কেন্দ্র করে। দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে সীমানা সংঘর্ষের কথা জানিয়েছেন। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মার মতই মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথঙ্গাও টুইটারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। 

আর দুই দিন পরেই অমিত শাহ উত্তর পূর্ব ভারত সফর করবেন। সেখানে তিনি উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। কিন্তু তার আগে উত্তর পূর্বের দুই গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের সীমানাকে কেন্দ্র করে এজাতীয় সংঘর্ষ কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে ফলতে পারে বিজেপিকে। 

দিল্লি যাওয়ার আগেই পেগাসাস ইস্যুতে তদন্ত কমিশন গঠন মুখ্যমন্ত্রী মমতার, তীব্র কটাক্ষ অমিত মালব্যর
মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরমথাঙ্গা সামানা সংঘর্ষ বন্ধ করার জন্য অমিত শাহর কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন অমিত শাহজি দয়া করে বিষয়টি দেখুন। পাশাপাশি এজাতীয় সংঘর্ষ অবিলম্বে বন্ধ করা জরুরি বলেও আবেদন জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে কিছুটা চড়া সুরেই হিংসা নিয়ে বার্তা দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি বসেছেন কোলাসিব(মিডোরাম) এসপি এলাকা থেকে অসমের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু তাদের স্থানীয় বাসিন্দারা তা শুনবে না বা হিংসা বন্ধ করবে না। এই অবস্থায় তিনি কী করে সরকার চালাবেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্বশর্মা। 

ইয়েদুরাপ্পার অকাল প্রস্থান, কংগ্রেসের সামনে বদলা নেওয়ার সোনার সুযোগ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিরাগত বলার অভিযোগ, KLO নেতার বিরুদ্ধে UAPA ধারায় মামলা দায়ের

স্থানীয় সূত্রের খবর মিজোরামের তিনটি জেলা আইজল, কোলাসিব, মমিত-অসমের কাছার, হাইলাকান্জি আর করিমগঞ্জের সঙ্গে প্রায় ১৬৪ .৬ কিলোমিটার সামানা ভাগ করে নেয়। এই সামানা নিয়ে দীর্ঘ দিন করেই দুই প্রতিবেশী রাজ্যের মধ্যে বিবাদ চলে আসছে। মাঝে মাঝে সেই বিবাদ আগ্নিগর্ভ পরিস্তিতি তৈরি করে। দুই রাজ্যের সমস্যা সমাধানের জন্য একাধিকবার বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনওটি তেমন ফলপ্রসূ হয়নি। গত জুন মাসেই দুই রাজ্যের মধ্যে সীমানা সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। দুই রাজ্যই একে অপরের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল। যদিও মিজোরাম সীমানা সমস্যা মেটানোর জন্য একটি সীমান্ত কমিশনও তৈরি করেছে। 

PREV
click me!

Recommended Stories

যোগী সরকারের উত্তরপ্রদেশ ডিজিটাল পাওয়ারহাউস: স্টার্টআপ, আইটিতে রেকর্ড বৃদ্ধি
ইউনেস্কোর কালচারাল হেরিটেজ তালিকায় দিওয়ালি, উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী মোদী