দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে অসমের বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। আগামিকাল, সোমবার দুপুর ১২টা-য় অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তাঁর সঙ্গে শপথ নেবেন মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরাও। আজ বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকে দলের বিধানসভা পরিষদের প্রধান হিসেবে হিমন্তের নাম ঠিক হয়। তার আগে আজ সকালেই রাজ্যপাল জগদীশ মুখীর কাছে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনয়ালের ইস্তফাপত্র জমা দেন।
আরও পড়ুন: মোদীকে লেখা মমতার চিঠির উত্তর দিলেন নির্মলা, কর ছাড়ের তালিকা মিলিয়ে নিতে বললেন তিনি
পাঁচ বছর সর্বানন্দ সোনোয়াল মুখ্যমন্ত্রী থাকার পর অসমে ফের বিজেপি ক্ষমতা আসে। ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে জিতে প্রথমবার অসমে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। সেই ভোটে বিজেপিকে জেতানোর কারিগর হিমন্তকে মুখ্যমন্ত্রী না করে, রাজ্যের সিংহাসনে বসানো হয়েছিল সর্বানন্দ সোনয়ালকে। এবার সিএএ, এনআরসি, কোভিডের মত ইস্যুতে কিছুটা ব্যাকফুটে থেকেও অসম বিধানসভা নির্বাচনে অনায়াসে জয় পায় বিজেপি। এবারও চাণক্য হিসেবে পরিচিত হিমন্তই জয়ের নেপথ্য কারিগর হন। আর তাই এবার আর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হল। সর্বানন্দকে এবার কোন দায়িত্ব দেওয়া হয় সেটাই দেখার। রবিবার সকালেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে রাজ্যপাল জগদীশ মুখীর কাছে সর্বানন্দ সোনেওয়ালের ইস্তফাপত্র জমা পড়ার পরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল কী হতে চলেছে।
অসমে বিজেপির বড় জয়ের পরই জল্পনা চলছিল সর্বানন্দ সোনয়ালকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রেখে দেওয়া হয় নাকি হিমন্তকেই দায়িত্বে আনা হয়। শেষ অবধি ২০১৫ সালে কংগ্রেস ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়ে অসমে জয়ের নায়ক হিমন্তকেই বেছে নিল বিজেপি।
প্রসঙ্গত, ১২৬ আসনের মধ্যে বিজেপি ৬০টি আসনে জিতেছিল। বিজেপির শরিক দল অসম গণ পরিষদ ৬টি ও ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারাল ৬টি আসনে জয়ী হয়। মানে ১২৬টি আসনের মধ্যে এনডিএ জেতে ৭২টি আসনে। অন্যদিকে, কংগ্রেস ও তার জোট সঙ্গীরা জেতে ৫০টা আসন। গতকাল দিল্লিতে সর্বানন্দ ও হিমন্তকে নিয়ে আলোচনায় বসেছিল বিজেপির হাইকমান্ড। বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহও অসমের দুই নেতার সঙ্গে কথা বলেন। তারপরেই জানা যাচ্ছিল হিমন্তকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।