- Home
- World News
- ভারতে কেন Covid 19 সুনামি , সবকিছু জানালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন
ভারতে কেন Covid 19 সুনামি , সবকিছু জানালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন
- FB
- TW
- Linkdin
ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন। বিশ্বের প্রথম সারির একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন ভারতের করোনাভাইরায়ের যে স্ট্রেইন পাওয়া গেছে সেটি রীতিমত সংক্রামক। আর করোনার এই নতুন রূপ ভ্যাকসিন সুরক্ষাও ছিনতাই করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
পেডিয়াট্রিশিয়ান ও ক্লিনিক্যাল বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথক জানিয়েছে গত অক্টোবরে কোভিড ১৯-এর বি.১.৬১৭ রূপটি প্রথম সনাক্ত করা হয়েছিল। এই জিনটিকেই তাঁর মাতৃভূমি ভারতে করোনাভাইরাসের দ্রুত সংক্রমণের জন্য দায়ি করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন 'আজ আমরা ভারতে যে মহামারি সংক্রান্ত বৈশিষ্ট্যগুলি দেখি তা অত্যান্ত দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ার বৈকল্পিক ইঙ্গিত দেয়।'
সৌম্যা স্বামীনাথন জানিয়েছেন, এই এমনই একটি ভাইরাস যা অত্যান্ত দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম। আগামী দিনে এটি আরও দ্রুততার সঙ্গে সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
সৌম্যা স্বামীনাথন জানিয়েছেন, করোনার এই নতুন ভ্যাইব়্যান্টের কিছু মিউটেশন হয়েছে। যা আর ও বেশি সংক্রামণ। এটি টিকার পর শরীরে তারি অ্যান্টিবডিকে হারিয়ে দিতে পারে।
তবে দেশের এই করোনা পরিস্থিতির জন্যশুধুমাত্র করোনাভাইরাসের পরিবর্তিত রূপটিকেই দায়ি করছেন না বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বিজ্ঞানীয়। তিনি বলেছেন দেশের মানুষের অসচেতনতাও দ্রুত গতিতে সংক্রমণের জন্য দাবি। সংক্রমণ কিছুটা কমে যাওয়ার পর থেকেই সুরক্ষাকবচ সরিয়ে দিয়েছিল ভারতীয়রা।
বি.১.৬১৭- এটি আগামী দিনে উদ্বেগের কারণ হতে পারে। কারণ করোনাভাইরাসের এমন কিছু মিউটেশন হয়েছে যা সংক্রমণ দ্রুত করতে সক্ষম হয়েছে। টিকা দেওয়ার মাধ্যমে তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা কিছুটা হলেও কঠিন বলেই মনে করছেন তিনি। তিনি বলেছেন, এটি প্রাকৃতিক সংক্রমণের দ্বারা সৃষ্ট বা টিকা দেওয়ার মাধ্যমে তৈরি অ্যান্টিবডিগুলির প্রতিরোধীও হতে পারে।
সৌম্যা স্বামীনাথন বলেছেন ভারতের মত বৃহৎ দেশে বেশ কয়েক মাস ধরেই নিচু তলায় সংক্রমণ ঘটছিলয তখন সেটিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। একটা সময় ভারতীয়রা ধরেই নিয়েছিল তারা করোনা যুদ্ধ জয়ী হয়েছে। আর সেই সময় তারা মাস্কের ব্যবহার করেনি। মানেনি নিরাপদ শারীরিক দুরত্ব।
তিনি আরও বলেন,এই মুহূর্তে ভারতে করোনা সংক্রামণে নিয়ন্ত্রণ টানা রীতিমত কঠিন কাজ। কারণ বর্তমানে এটি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হারে বাড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন সংক্রমণ রুখতে টিকা দেওয়াই একমাত্র রাস্তা নয়।
তিনি আরও বলেছেন ১.৩ বিলিয়নের বেশি জনসংখ্যা ভারতে। আর সেখানে এখনও পর্যন্ত মাত্র ২ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে পেরেছে বিশ্বের সবথেকে বড় টিকা প্রস্তুতকারক দেশটি। ৭০-৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে কমকরে এক বছর সময় লাগার কথা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানীর বলেছেনঅদূর ভবিষ্যতে সংক্রমণ কমাতে জনস্বাস্থ্য ও করোনা প্রোটোকল মেনে চলা জরুরি। তিনি আরও বলেন কোনও ভাইরাস যতবেশি ছড়িয়ে পড়ে ততই দ্রুতগতিতে মিউটেশন হয়। যা আগামী দিনে টিকা দিয়েও বাগে আনা সম্ভব নয়। ভারতেই এই সমস্যা আগামী দিনে পুরো বিশ্বের কাছে একটি সমস্যা তৈরি হতে চলেছে