সংক্ষিপ্ত
- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- দিন শেষ হওয়ার আগেই সেই চিঠির উত্তর দিলেন নির্মালা
- কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পরপর ১৬টি টুইট করেন
- একের পর এক টুইটে উত্তর দেন মমতার দাবির
রাজ্যের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের কাছে একাধিক সাহায্য চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে অক্সিজেন সরবরাহের পরিমাণ বৃদ্ধি থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের ওপর করছাড়়ের দাবি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। রবিবারই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই চিঠির জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তিনি পরপর ১৬টি টুইট করে মমতা লেখা চিঠির উত্তর দেন। যেখানে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেসব প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের ওপর ছাড় চেয়েছেন তার অধিকাংশতেই আগে থেকে ছাড় দিয়ে রখেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
রীতমত রনংদেহী মূর্তিতেই পুরপর ১৬টি টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী চিঠির জবাব দিয়েছেন নির্মলা সীতারমন। প্রথম টুইটেই তিনি বলেনেছেন, জিএসটি, কাস্টমস ডিউটি ও অন্যান্য কয়েকটি করোনাভাইরাসের চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ওষেধের ওপর কর ছাড় চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। নিন্মলিখিত ১৬টি টুইটে তিনি তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। যা মমতার পাঠান তালিকার সঙ্গে মেলে কিনা তাও দেখে নিতে বলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। দ্বিতীয় টুইটে তিনি বলেন ২০২১ সালের ৩ মে কোভিডের সঙ্গে সংযুক্ত ত্রাণ ও সামগ্রী আমদানির ওপর গত ৩ মে ২০২১ সালে আইজিএসটি ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। স্বাস্থ্য দফতর এই ছাড় দিয়েছিল। দেশে বিনামূল্যে তা বিতরণের জন্য কর দেওয়ার কথাও আগেই ঘোষণা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্য বার্তা দিয়ে নির্মালা সীতারমন আরও জানিয়েছেন রেমডেসেভির ইনজেকশন ও তার জন্য রাসায়নিক অমদানির জন্য শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে। এছাড়ও মেডিক্যাল তরল অক্সিজেন, অক্সিজেন উৎপাদন, স্টোরেজ ও পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত সরঞ্জামের ওপরেও ছাড় দেওয়া হয়েছে। করোনা ভ্যাকসিন ও ডায়াগনস্টিক কিটের ওপরেও শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে।
নির্মলা সীতারমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে জানিয়েছেন কোনও রাজ্য সরকার বা স্বশাসিত সংস্থা বিনামূল্য সংশ্লিষ্ট দ্রব্যগুলি যদি আমদানি করে তবে তার ওপরেও ছাড় প্রযোজ্য থাকবে। সংশ্লিষ্ট দ্রব্যগুলির সহজলভ্যতা বৃদ্ধির জন্য সরকার তাদের বাণিজ্যিক আমদানিতে বুনিয়াদি শুল্ক ও স্বাস্থ্য সেসের ওপরেও ছাড় দিচ্ছে। অভ্যন্তরীন সরবরাহ ও বাণিজ্যিক আমদানিতে ভ্যাকসিনের ওপর ৫ শতাংশ জিএসটি ও করোনার ওষুধ, অক্সিজেন কনসেন্টেটরের ওপর ১২ শতাংশ হারে জিএসটি প্রযোজ্য। তিনি আরও বলেছেন যদি জিএসটিতে সম্পূর্ণ ছাড় দেওয়া হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট আইটেমগুলির ওপর উৎপাদকরা প্রদেয় করের অপসেট করতে অক্ষম হবে। আর গ্রাহকদের তা বেশি টাকা দিয়ে কিনতে হবে। তিনি আরও বলেন এখনও পর্যন্ত ৪৫ অথবা তার উর্ধ্ব বয়সীদের ও সমস্ত ফ্রন্টলাইন কর্মীদের কেন্দ্রীয় সরকার বিনামূল্যে কোভিড ভ্যাকসিন সরবরাহ করছে। ভ্যাকসিন থেকে সংগৃহ জিএসটির ৪১ শাংতাশও রাজ্যে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন নির্মলা সীতারমন।