জনসমুদ্র বলল 'কেয়া ডরে চোরো সে', দেশ বাঁচানোর লড়াইয়ের ডাক দিলেন ওয়াইসি

  • হায়দরাবাদে সিএএ ২০১৯ এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে সভায় বিপুল জনসমাগম
  • এআইমিম-এর সদর দফতরে উঠল আওয়াজ 'কেয়া ডরনা চোরো সে'
  • দেশ বাঁচানোর ডাক দিলেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি
  • মিম প্রধানের দাওয়াই ঘরে ঘরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন

 

amartya lahiri | Published : Dec 22, 2019 4:39 AM IST / Updated: Dec 22 2019, 01:25 PM IST

হায়দরাবাদে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর বিরুদ্ধে ইউনাইটেড মুসলিম অ্যাকশন কমিটি আয়োজিত সভায় ধর্ম নির্বিশেষে বিপুল জনসমাগম দেখা গেল। অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন-এর সদর দফতর হায়দরাবাদের দারুসালাম-এর এই সভা থেকে জনসমুদ্রে আওয়াজ উঠল 'যব ডরা নেহি গোরো সে, তব কেয়া ডরনা চোরো সে'। একই সভা থেকে দেশ বাঁচানোর ডাক দিলেন এআইমিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।

শনিবার সন্ধ্যার সভায় অন্তত কয়েক হাজার লোক সমবেত হয়েছিলেন। তোলা হয় জাতীয় পতাকা। বি আর আম্বেদকরের ছবি এবং সংবিধানের অনুলিপি হাতে নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি-র বিরোধিতা করেন সমবেত জনতা।

এআইমিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, এনআরসি এবং সিএএ-র বিরুদ্ধের  লড়াই আদতে দেশ ও সংবিধান রক্ষার লড়াই ছিল। এই লড়াই দীর্ঘদিন ধরে লড়তে হবে, এবং শান্তিপূর্ণভাবেই লড়তে হবে। 'শত্রু'রা আন্দোলন যাতে হিংসাত্মক হয়ে ওঠে সেই চেষ্টাই করবে বলে সতর্ক করেন তিনি। 'ফ্যাসিবাদী'দের বিরুদ্ধে, গান্ধীবাদী মূল্যবোধ, আম্বেদকরের মূল্যবোধে প্রতিবাদ আন্দোলন করতে ঘরে ঘরে ভারতের জাতীয় পতাকা লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি।

নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তিনি ধর্মের ভিত্তিতে দেশকে বিভক্ত করার অভিযোগ আনেন। ওয়াইসি বলেন, দেশভাগকে দারুসালাম-এর মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছিল। ৭০ বছর আগে দারুসালাম-এ জিন্না বক্তৃতা দিয়ে মুসলিমদের পাকিস্তানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু দারুসালাম-এর মানুষ ভারতের প্রতি এটি আনুগত্য এবং ভালবাসা দেখিয়ে এখানেই থেকে যান।

তবে এই লড়াইটা শুধু মুসলমানদের লড়াই নয় বলেছেন তিনি। দলিত, তফসিলি উপজাতি এবং অন্যান্য সকলের লড়াই। সরকার মুসলমানদের রাষ্ট্রহীন করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন ওয়াইসি। তাঁর মতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের লোকদের নাগরিকত্ব দিতে চাইলে সেখানে ধর্মের ভেদাভেদ সরাতে হবে।

 

Share this article
click me!