রবিবার সকালে কেদারনাথ মন্দিরে কাছে সুমেরু পাহাড়ে একটি তুষারধসের ঘটনা ঘটেচে। চলতি বছর মে মাসে কেদাধাসে তুষারধস হয়।
চারধাম যাত্রা কি আবারও বাধা পাবে, কেদারনাথ মন্দিরের পিছনে সুমেরু পাহাড়ে তুষার ধস আবারও সেই প্রশ্নয়ই উস্কে দিল। ভক্ত ও তীর্থযাত্রীদের মধ্যে এই তুষারধস ঘিরে রীতিমত আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই জলস্তর দ্রুত বাড়ছে সরস্বতী নদীর। উত্তরাখণ্ডের প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর নতুন করে শুরু করেছে চারধাম যাত্রা। দুই সপ্তাহে কোনও সমস্যা হয়নি। দর্শনার্থীদের সংখ্যাও বাড়ছিল। কিন্তু সুমেরু পাহাড়ে ভয়ঙ্কর তুষারধস চারধাম যাত্রায় বাধা তৈরি করতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছে অনেকেই।
রুদ্রপ্রয়াগ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসীরে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রবিবার সকালে কেদারনাথ মন্দিরে কাছে সুমেরু পাহাড়ে একটি তুষারধসের ঘটনা ঘটেচে। চলতি বছর মে মাসে কেদাধাসে তুষারধস হয়। গত বছর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে তিনটি ঘটনা ঘটেছিল। এক বছরের মধ্যে একটি পঞ্চম তুষারধসের ঘটনা কেদারধামের কাছাকাছি এলাকায়। জেলা প্রশাসন আরও জানিয়েছে সরস্বতী নদীর জলের স্তরও বাড়তে শুরু করেছে।
জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিক নন্দন সিং রাজওয়ার জানিয়েছেন, কেদারধামে আরও তুষারধসের ঘটনা ঘটেছে। সকাল সাড়ে ৭টায় মাউন্ট সুমেরু পাহাড় থেকে তুষারধস হয়। এই সময় লোকেরা এখানে ভিডিও শ্যুট করেছিল। তবে কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিস জানিয়েছে, কেদারনাথ থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে চারবাড়ি তালের ওপর অবস্থিত হিমবাহের একটি অংশ ভাঙন ধরে। এই এলাকায় পাঁচ থেকে সাত মিনিট বছরের মেঘ ছিল। বরফ যেভাবে ভেঙে পড়ে তাতে পরিষ্কার যে অনেক উঁচু থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে।
আবহাওয়া দফতরও সতর্কতা জারি করেছে। বলেছে আগামী কয়েক দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বর্ষা বিদায় নিতে দেরী আছে বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিস জানিয়েছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কারণে হিমালয় অঞ্চলে এখন অপ্রত্যাশিতভাবে তুষারপাতের ঘটনা প্রত্যক্ষ করা হচ্ছে।
এই দুর্যোগের সময় কেরাদনাথ ধামে প্রায় ৪০০ তীর্থযাত্রী ছিল । দ্রুত তাদের নামিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে প্রতিদিনই ২২০০ যাত্রী কেদারনাথ মন্দির দর্শন করেছে।