বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনায় ষড়যন্ত্র ও পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গোটা ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলীমনোহর জোশী, উমা ভারতী-সহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে।
'দোষ কারও নয়', বাবরি মসজিদ ভাঙার মামলায় স্পষ্ট জানাল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতের রায়ের কোন বদল হল না। এবারও বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলীমনোহর জোশী, উমা ভারতীদের বেকসুর খালাস করল আদালত। উপরোন্তু এই দাঙ্গায় উন্মত্ত জনতাকে আটকানোরই চেষ্টা করেছিলেন এই বিজেপি নেতারা বলে জানাল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বরের ঘটনায় আডবাণীদের বেকসুর খালাস করেছিল লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন অযোধ্যার দুই মুসলিম বাসিন্দা। সেই আবেদন খারিজ করল বিচারপতি রমেশ সিংহ এবং বিচারপতি সরোজ যাদবের বেঞ্চ।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনায় ষড়যন্ত্র ও পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গোটা ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলীমনোহর জোশী, উমা ভারতী-সহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে। মামলা চলাকালীনই মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজনের। ২০২০ সালের সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এই মামলায় লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত জানায়, বাবারি মসজিদ ধ্বংসের পেছনে কোনও ষড়যন্ত্র বা পূর্ব পরিকল্পনা ছিল না। উন্মত্ত জনরোষের মুখেই গোটা ঘটনাটি ঘটেছিল। আডবাণী, জোশী, উমা-সহ ৩২ জনকে নিরপরাধ ঘোষণা করা হয়। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আবেদন করা হয়। মামলা চলাকালীনই মৃত্যু হয় মূল অভিযুক্তের। ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করা হয় রামমন্দিরের। এবার আডবাণী-জোশী-উমা ভারতীদেরও বেকসুর খালাস করল হাই কোর্ট।
আরও পড়ুন -
দুদিনে চার রাজ্যে ঝটিকা সফর, কীভাবে ব্যস্ত কর্মসূচি সামলাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দেখে নিন
পলাতক নীরব মোদীকে ভারতে আনার পথ পরিষ্কার, হিরে ব্যবসায়ীর আবেদন খারিজ করল ব্রিটেন হাইকোর্ট